চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৭ গোল। লিওনেল মেসির রেকর্ড ভাঙা। লা ডেসিমা। গোটা মরসুমে ৪৭ ম্যাচে ৫১ গোল। স্বপ্নের মরসুম? গত মরসুমকে কি এ ভাবে দেখবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো? ভুল হল। পর্তুগিজ তারকা এই সাফল্যগুলোও এ বার ছাপিয়ে যেতে চান। নিজেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খাঁড়া করাই চলতি মরসুমে চ্যালেঞ্জ সিআর সেভেনের।
একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরকমই জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের মহাতারকা। “সত্যিই গত মরসুমটা দুরন্ত গিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। যে ট্রফিটার দিকে রিয়াল মাদ্রিদ দীর্ঘদিন তাকিয়ে ছিল সেই লা ডেসিমা (দশ নম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব) জিতেছি। এ মরসুমে এই সাফল্যটাই পাওয়ার আবার চেষ্টা করব,” সাধারণ সাদা টি শার্ট, বেসবল ক্যাপ আর ডেনিমে ঝকঝকে মহাতারকা সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দেন। সঙ্গে যোগ করেন, “যদি ব্যাক্তিগত লক্ষের কথা বলেন তা হলে বলব নিজের রেকর্ডটাই ভাঙতে চাই এ বার। জানি সেটা সহজ হবে না। কিন্তু আমি চেষ্টা করবই।”
যার চোট নিয়ে বিশ্ব জুড়ে জল্পনা। ফিটনেস ফেরাতে তিন সপ্তাহ বিশ্রাম দিয়েছে ক্লাব। ব্রাজিল বিশ্বকাপ চলাকালীন ফিজিও তো বলেই দিয়েছিল যথেষ্ট বিশ্রাম না নিলে চোট আরও ভোগাতে পারে, তিনি এ কথা বলছেন! আশ্চর্য হওয়ারই কথা। কিন্তু বক্তার নাম যে রোনাল্ডো। যার সামনে কিছুই যেন অসম্ভব নয়। জাতীয় দল নিয়েও তাই একই লক্ষ্যের কথা উঠে আসে পর্তুগাল ক্যাপ্টেনের কথায়, বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পরও, “রিয়ালের সঙ্গে জাতীয় দলের তুলনা করা যায় না। দুটো দল এক নয়। খুব কম সময়ই জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাই। মাত্র এক কোটি জনসংখ্যা পর্তুগালের। তাই সেরা প্লেয়ারদের খুঁজে পাওয়াটা কঠিন।” সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই কারণেই পর্তুগাল গুরুত্বপূর্ণ কোনও ট্রফি জেতেনি ইদানীং, তবে আমরা বিশ্বাস করি সাফল্য পাব। হয়তো ২০১৬ ইউরোতে। আমার মনে হয় সেটা সম্ভব।”
সোফায় বসে রোনাল্ডোর সাক্ষাৎকার দেওয়ার মধ্যেই হাজির ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। অনিবার্য প্রশ্নটা উঠে আসে তখনই বাবার জুতোতেই কি ছেলে পা গলাবে ভবিষ্যতে? “আমার স্বপ্ন সেটাই। তবে ও জীবনে যেটা চায় হতে পারে। ফুটবলার হলে আমি খুব খুশি হব, কিন্তু সেটা তো আমার হাতে নেই। আমি ওর সঙ্গে খেলতে পারলেই খুশি এখন।” কথায় কথায় উঠে আসে তাঁর প্রাক্তন ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রসঙ্গও। চলতি মরসুমেই যেখানে লোনে গিয়েছেন কলম্বিয়ার তারকা রাদামেল ফালকাও। “আমার মনে হয় ম্যান ইউ খুব ভাল করেছে ওকে কিনে। ইউনাউটেডের মরসুমের শুরুটা ভাল হয়নি। তাই ওদের ভাল প্লেয়ার চাই। ফালকাও দারুণ প্লেয়ার,” বলে দেন রোনাল্ডো। আর তাঁর ক্লাবের দলবদলের বাজারে কেনা তারকারা? প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডে টনি ক্রুজ আর হামেস রদ্রিগেজকে কেনাটা কী ভাবে দেখছেন? নিজেই তো রিয়ালের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। “আমি যদি ক্লাবের দায়িত্বে থাকতাম হয়তো এটা করতাম না,” সপাট মন্তব্য সিআর সেভেনের।