চিলিকে হারিয়ে কোপা ফাইনালে পেরু। ছবি: পিটিআই
গতবারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল পেরু। ফাইনালে আয়োজক দেশ ব্রাজিলের সামনে রিকার্ডো গারেকার দল। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে সেলেকাও-বাহিনী।
২০১৫ থেকে পেরুর আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের কোচ গারেকা। লিয়োনেল মেসি পারেননি তাঁর দেশকে কোপার ফাইনালে তুলতে। আর্জেন্টাইন গারেকার স্ট্র্যাটেজিতে মাত চিলি। পেরুর বর্তমান কোচ এক সময়ে খেলে গিয়েছেন কলকাতায়। ১৯৮৪-র নেহরু কাপে ভারত ১-০ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনার কাছে। গোলটি করেছিলেন গারেকা। সেই স্মৃতি এখনও জীবন্ত এশিয়ান অল স্টার-খ্যাত গোলকিপার অতনু ভট্টাচার্য়ের মনে। স্মৃতিচারণ করে এ দিন অতনু বলছিলেন, ‘‘কার্লোস বিলার্দো ছিল সে বারের আর্জেন্টিনা দলের কোচ। বাঁ দিক থেকে জুলিয়েন ক্যামিনো সেন্টার ভাসিয়েছিল। বেশ কয়েকবার বল বাঁচাই। শেষমেশ গারেকা বুক দিয়ে বল নামিয়ে ভলি করে দেয়। আমি শরীর ছুড়েও বল বাঁচাতে পারিনি।’’ মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ গোল করা বুরুচাগাও খেলে গিয়েছিলেন সে বার। চোটের জন্য কেবল আসেননি দিয়েগো মারাদোনা। গারেকাই ছিলেন সে বার নায়ক। ফুটবল জীবনে আর্জেন্টিনার হয়ে ২০টি ম্যাচ খেলা গারেকা নেহরু কাপে করেছিলেন পাঁচ গোল। যার মধ্যে একটি গোল ভারতের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে।
কোপার সেমিফাইনালে চিলি ৬৫ শতাংশ বল অধিকারে রাখলেও কাজের কাজ করে যায় পেরু। প্রথমার্ধেই দলকে দুই গোলে এগিয়ে দেন এদিসন ফ্লোরেস ও জোশিমার ইয়োতিন। দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই ফাইনাল পাস বাড়িয়েছিলেন আন্দ্রে কারিলো। ৩৮ মিনিটে হওয়া দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে যদিও দায়ী চিলির গোলকিপার গাব্রিয়াল অ্যারিয়াস। গোল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় অরক্ষিত গোলে শট নেন ইয়োতিন। কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতেন পেরু স্ট্রাইকার পাওলো গুয়েরো। যদিও তখন ৯০ মিনিট শেষে ইঞ্জুরি টাইমের খেলা চলছে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ভিদেল, সাঞ্চেজ সমৃদ্ধ চিলি গোল লক্ষ্য করে ১৫টা শট নিলেও গোল করতে ব্যর্থ।
নেমারহীন ব্রাজিলের কাছে উড়ে গেল মেসির আর্জেন্টিনা, কোপা ফাইনালে সেলেকাওরা
ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে ৮ জুলাই মুখোমুখি হবে আট বারের বিজয়ী ব্রাজিল ও দু’বারের বিজয়ী পেরু। নেমারহীন ব্রাজিল যে ভাবে দলগত খেলার ওপর নির্ভর করে খেলছে তাতে তাদের আটকানো মুশকিল। ইতিহাস বলছে আজ অবধি নিজেদের দেশে কোপা ফাইনাল হারেনি ব্রাজিল। তবে নিজেদের থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ চিলিকে হারিয়ে পেরুও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আর্জেন্টাইন কোচ গেরেকার হাত ধরে কি পেরু পারবে সাম্বা ঝড় থামাতে? তারই অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।
আরও পড়ুন: আরও তিন বছর হয়তো দুই প্রধান আই লিগে