২২ গজে তাঁরা ওস্তাদ। তবে চেনা মাঠের বাইরেও তাঁরা কম যান না কিছু। ২২ গজের বাইরে বলতে প্রথমেই মাথায় আসবে ক্রিকেটারদের রেস্তরাঁ প্রীতি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহালিদের রেস্তরাঁগুলিতে ঢুঁ মেরে দেখেছেন কখনও?
চলতি বছরেই নিজের রেস্তঁরার ফিতে কেটেছেন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহালি। দিল্লির আরকে পূরমে অবস্থিত বিরাটের এই রেস্তরাঁটির নাম নুয়েভা। নুয়েভা খুলতে না খুলতেই দিল্লির বহু মানুষের পছন্দের জায়গা হয়ে গিয়েছে। আর হবেই বা না কেন? এই রেস্তরাঁর প্রধান শেফ দেশের নামকরা শেফ মাইকেল স্বামী।
মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকায় রেস্তরাঁ রয়েছে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের। সচিনের এই রেস্তরাঁর নাম ‘তেন্ডুলকরস’। ২০০২ সালে এই রেস্তরাঁ উদ্বোধন করেন সচিন। এই রেস্তরাঁর ব্যবসায় সচিনের পার্টনার সচিনের বন্ধু সঞ্জয় নারাঙ্গ। মাস্টার ব্লাস্টারের প্রিয় খাবারগুলির জন্যও বহু মানুষ ভিড় করেন ‘তেন্ডুলকরস’-এ।
হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে না রাখতেই নাম করে ফেলেছিলেন জাহির খান। ২০০৪ সালে পুণের লুল্লানগরে নিজের প্রথম রেস্তরাঁ ‘জেডকেস’ উদ্বোধন করেন জাহির। ২০১৩ সালে পুণেতেই ‘জাহির খানস ডাইন ফাইন’ নামে আর একটি রেস্তরাঁরও খোলেন এই ক্রিকেটার। এ ছাড়া ‘ব্যাঙ্কোয়েট ফয়্যার’ নামে একটি ব্যাঙ্কোয়েটও রয়েছে জাহিরের।
তাঁর বোলিংয়ের জাদুতে মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। আর তাঁর রেস্তরাঁর খাবারের ভক্ত রাজকোটের মানুষজন। কথা হচ্ছে রবীন্দ্র জাডেজার। ভারতীয় দলে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেওয়ার আগেই নিজের রেস্তরাঁ খুলে ফেলেছিলেন জাড্ডু। ১২ সংখ্যাটিকে লাকি মনে করেন জাডেজা। তাই নিজের রেস্তরাঁ ‘জাড্ডুস ফুড ফিল্ড’ উদ্বোধন করেছিলেন ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর।
রেস্তরাঁর ব্যবসায় নেমেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগও। দিল্লিতেই ‘সহবাগজ ফেবারিটস’ বলে একটি ভেজিটেরিয়ান রেস্তরাঁও খুলেছিলেন সহবাগ। তবে লোকসানের কারণে কিছু দিনের মধ্যেই তা বন্ধ করে দেন সহবাগ।
এক সময়ে কলকাতাবাসীর অন্যতম প্রিয় রেস্তরাঁ হয়ে উঠেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সৌরভজ’। ২০০৪ সালে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে এই রেস্তরাঁটি খোলেন প্রিন্স অব কলকাতা। তবে ২০১১ সালে রেস্তরাঁটি বন্ধও করে দেন সৌরভ।
ভারতকে প্রথম বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তারও তিন বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮০ সালেই চন্ডীগড়ে নিজের রেস্তরাঁ ‘ক্যাপ্টেনস রিট্রিট’ খুলে ফেলেছিলেন কপিল দেব। পটনায় ‘কপিল দেব’জ ইলেভেনজ’ নামে আরও একটি রেস্তরাঁ আছে তাঁর।
২০০২ সালে দিল্লিতে একটি ইতালিয়ান রেস্তরাঁ খোলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। অজয়ের এই রেস্তরাঁর নাম ‘সেন্সো’। তবে শুধু অজয় নন। এই রেস্তরাঁর আর এক পার্টনার ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি দিবাকর শাস্ত্রী।
বেঙ্গালুরুতে রবিন উথাপ্পা এবং শ্রীসন্থ দু’জনের একটি ক্যাফে রয়েছে। সেই ক্যাফের নাম ‘ব্যাট অ্যান্ড বল ইন’।