লোঢা সুপারিশের বেশির ভাগই মানতে রাজি কি না বোর্ডের অনুমোদিত সংস্থাগুলি, তা বুধবার বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় বোঝা যাবে। বোর্ডসূত্রের খবর অবশ্য ইতিবাচক সিদ্ধান্তই জানাবেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বোর্ড কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে আদালতে। সেগুলি নিয়ে ফের শুনতেও রাজি হয়েছেন বিচারকরা। সেই জন্যই বাকি সুপারিশগুলি মেনেই নিতে চায় রাজ্যসংস্থাগুলো। এক সংস্থার এক শীর্ষকর্তা এ দিন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যখন আমাদের আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে, তখন আমরাই বা কেন তাদের সুপারিশ মেনে নেব না। যেগুলো সম্ভব, সেই সুপারিশগুলো মেনে নিতে তো কোনও অসুবিধা নেই।’’ এত দিন দুই বাতিল কর্তা এন শ্রীনিবাসন ও নিরঞ্জন শাহের বাধায় সংস্থাগুলি এই ব্যাপারে এক জায়গায় আসতে পারেনি বলে অভিযোগ। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বুধবারের সভায় তাঁরা থাকতে পারছেন না। ফলে ঐক্যমত্যের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। এ ছাড়াও বোর্ডের আর্থিক অনুদান সুষ্ঠু ভাবে বন্টনের পদ্ধতি এই সভায় প্রস্তাব আকারে পেশ করবে বিখ্যাত আর্থিক সংস্থা ডেলয়েট।
এ দিকে মেয়েদের বিশ্বকাপে রানার্স হয়ে ফেরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের পুরস্কারমূল্য আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে দেশের ক্রিকেট মহলে। বোর্ডের বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থার কর্তারাও বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন, যে ৫০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করেছে বোর্ড, তার পরিমাণ বাড়ানো হোক। ফলে বোর্ড কর্তারা মিতালি রাজদের পুরস্কারমূল্য বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানা গিয়েছে। বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সিকে খন্না মেয়েদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর ব্যাপারে বিবেচনার কথাও বলেছেন।