ক্রিকেটারদের নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে লড়াইয়ের পথে আরসিএ

এক দিকে স্বস্তি, অন্য দিকে আশা ও আশঙ্কা দুইই। রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থা (আরসিএ) এবং সে রাজ্যের ক্রিকেটারদের এখন এমনই ত্রিশঙ্কু অবস্থা। বুধবার যেমন জয়পুরের অতিরিক্ত জেলা আদালত থেকে আরসিএ-র মামলা সরানোর জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আবেদন খারিজ হয়ে গেল, তেমনই আরসিএ আবার তাদের রাজ্যের ক্রিকেটারদের দিয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করানোর রাস্তায় হাঁটাও শুরু করে দিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৫
Share:

এক দিকে স্বস্তি, অন্য দিকে আশা ও আশঙ্কা দুইই। রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থা (আরসিএ) এবং সে রাজ্যের ক্রিকেটারদের এখন এমনই ত্রিশঙ্কু অবস্থা। বুধবার যেমন জয়পুরের অতিরিক্ত জেলা আদালত থেকে আরসিএ-র মামলা সরানোর জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আবেদন খারিজ হয়ে গেল, তেমনই আরসিএ আবার তাদের রাজ্যের ক্রিকেটারদের দিয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করানোর রাস্তায় হাঁটাও শুরু করে দিল। যা পরিস্থিতি, তাতে এই জনস্বার্থ মামলাই রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার শেষ অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। কিন্তু ক’জন ক্রিকেটার এই মামলার আবেদনে সই করবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Advertisement

তাদের সংস্থাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা করেছে আরসিএ, তা অতিরিক্ত জেলা আদালত থেকে সরানোর আবেদন জানিয়েছিল বোর্ড। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় আপাতত কিছুটা দম ফেলার সময় পেয়ে গেলেন আরসিএ কর্তারা। এ বার তাঁরা ক্রিকেটারদের দিয়ে জনস্বার্থ মামলা করানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বোর্ড-আরসিএ দ্বৈরথ চললে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, সেই রাজস্থানের বেশ কিছু ক্রিকেটার আবেদনে সই করলেও পঙ্কজ সিংহ, বিনীত সাক্সেনা, অশোক মানেরিয়া, দিশান্ত ইয়াগ্নিকদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেকেই সই করেননি বলে শোনা যাচ্ছে। আরসিএ-র ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও সংস্থার প্রধান আইনজীবী মেহমুদ আবদি অবশ্য এ দিন বলতে চাইলেন না কোন ক্রিকেটার সই করেছেন বা কারা করেননি। বললেন, “সেই তালিকা আমার কাছে নেই। তাই বলতে পারব না। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই আমরা এই মামলার আবেদন জানাব।”

Advertisement

ললিত মোদীর দেশে ফেরা নিয়ে অবশ্য এখনও অন্ধকারে আরসিএ কর্তারা। তবে জয়পুরে ফোন করে জানা গেল, মোদী এখনও ভারতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাননি। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি ও প্রাক্তন বোর্ডপ্রধান শশাঙ্ক মনোহর তাঁকে সমর্থন না করায় বেশ চাপে রয়েছেন আরসিএ প্রেসিডেন্ট। শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের সমর্থন কতটা পাবেন মোদী, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে আরসিএ-র কাছে এখন আদালতই শেষ ভরসা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement