অশ্বিনকে অভিনন্দন ঋষভের। ছবি বিসিসিআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
চার বছর আগে অ্যাডিলেড টেস্টে বাদ পড়েছিলেন। চার বছর পর তাঁর বলেই অ্যাডিলেড টেস্টে স্বস্তির অবস্থানে ভারত। এই চার বছরে অনেক পাল্টে গিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর উপমহাদেশের বাইরে তাঁর যে দুর্নাম, সেটাও শুক্রবারের অ্যাডিলেডে মুছে ফেলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেখাল চেন্নাইয়ের অফস্পিনারকে।
সে বার সিরিজের প্রথম টেস্টে অশ্বিনকে বসিয়ে বিরাট কোহালি খেলিয়েছিলেন লেগস্পিনার কর্ণ শর্মাকে। যিনি ৩৩ ওভার বল করে ১৪৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এদিন প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫০ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। কুড়িয়েছেন ক্রিকেটমহলের প্রশংসাও।
সুনীল গাওস্কর যেমন বলেছেন, “অশ্বিন নিশ্চয়ই নাথান লায়নের বোলিং থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যদি উন্নতিতে কাজে আসে, তবে বিপক্ষের থেকে শেখায় কোনও ভুল নেই। অনুকরণ করার দরকার নেই। তবে নিজের খেলায় সাহায্য করবে, এমন কিছু প্রয়োগ করাই যায়।"
আরও পড়ুন: অ্যাডিলেড ওভালের ছাদে উঠে গান ভারত আর্মির, তারপর...
আরও পড়ুন: সবাই পূজারা নয় হে! অ্যাডিলেডে খাওয়াজাকে টিপ্পনী ঋষভ পন্থের
এরপর ব্যাখ্যা করে কিংবদন্তি ওপেনার গাওস্কর বলেছেন, "অশ্বিন সত্যিই দারুণ বল করেছে। বৈচিত্রের দিকে নজর না দিয়ে অফস্পিনে বেশি জোর দিয়েছে ও। একমাত্র প্যাট কামিংসের বিরুদ্ধে বোলিংয়ের সময় রকমারি বল করেছে। না হলে সবসময় স্টক বলই করে গিয়েছে। গতি কমিয়েছে-বাড়িয়েছে, ফ্লাইটেও কারিকুরী করেছে। আগাগোড়া চাপ রেখে গিয়েছে ব্যাটসম্যানের উপর। সহজে রান দেয়নি। ওর বোলিং গড়ই বোঝাচ্ছে কত ভাল বল করেছে। কেউই তাই ওকে মারতে যায়নি। মার্কাস হ্যারিস ও উসমান খাওয়াজাকে যে দুই ডেলিভারিতে আউট করেছে, তা অসাধারণ।”
অশ্বিনের তিনটি উইকেটই বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে শন মার্শকে এই নিয়ে টেস্টে পাঁচবার আউট করলেন। স্বয়ং অশ্বিন এই ব্যাপারে বলেছেন, “আমি আরও কয়েকজন বাঁ-হাতিকে এর থেকেও বেশিবার আউট করেছি। ওর ভিডিয়ো দেখে কী ভাবে বল করব, তার পরিকল্পনা সেরে রেখেছিলাম। যা কাজে এসেছে।” টেস্ট কোন দিকে এগোচ্ছে? অশ্বিন বলেছেন, “হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অবস্থায় ম্যাচ। এখান থেকে যে দল মোমেন্টাম পাবে, তারাই এগিয়ে যাবে। এখন থেকে প্রত্যেক রানই গুরুত্বপূর্ণ।”
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)