গুজরাতের রঞ্জি জয়ের নায়ক পার্থিব পটেল। ছবি: পিটিআই।
মুম্বই ২২৮ ও ৪১১
গুজরাত ৩২৮ ও ৩১৩/৫ (৮৯.৫ ওবার)
পাঁচ উইকেটে জয় গুজরাতের
পার্থিবের ব্যাটে প্রথম রঞ্জি ট্রফি গুজরাতের। এর আগে একবারই ফাইনালে উঠেছিল দল। সেটা ১৯৫০-৫১। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ৪১বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ১৭তম চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে উঠে এল গুজরাত। যার ফল ২০ জানুয়ারি রেস্ট অফ ইন্ডিয়া দলের বিরুদ্ধে ইরানি ট্রফি খেলতে নামবে গুজরাত।
পাঁচদিনের রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত। প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রানেই গুটিয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। ওপেনার পৃথ্বী শ (৭১), সূর্য কুমার যাদব (৫৭)-এর ব্যাট থেকে হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোনও বড় রান আসেনি। প্রথম ইনিংসে গুজরাতের আরপি সিংহ, চিন্তন গাজা ও রুজুল ভাট দুটো করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট রুশ কালারিয়া ও হার্দিক পটেলের। জবাবে ব্যাট করতে এসে গুজরাত বড় রান তুলতে না পারলেও মুম্বইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয় কিছুটা। ৩২৮ রানে শেষ হয় পার্থিবদের ইনিংস। দুই ওপেনার সমিত গোহেল ও কীর্তি পাঞ্চাল ৪ ও ৬ রানেই প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলে ইনিংসের হাল ধরেন ভার্গব মেরাই (৪৫) ও পার্থিব পটেল ৯০)। যোগ্য সঙ্গত মনপ্রীত জুনেজা (৭৭)। মুম্বইয়ের হয়ে চারটি উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। তিনটি করে উইকেট বলবিন্দর সান্ধু ও অভিষেক নায়ারের।
আরও খবর: ধোনির নেতা বিরাট, বদলে দিয়েছে সিরিজের মানে
প্রথম ইনিংসে ভরসাজনক জায়গায় না যেতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা মরিয়া লড়াই দেয় মুম্বই। মুম্বইয়ের ৪১১ রানের ইনিংসে শ্রেয়াস আয়ার (৮২) ও অভিষেক নায়ার (৯১)-এর ব্যাক্তিগত রান উল্লেখযোগ্য। গুজরাতের হয়ে প্রথম ইনিংসে জোড়া সউইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ছ’উিকেট তুলে নেন চিন্তন গাজা। দুটো উইকেট আরপি সিংহ। ৩১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে শেষ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই বাজিমাত গুজরাতের। চিরাগের ব্যাট থেকে পর পর দুটো বাউন্ডারিতেই লেখা হয়ে গেল গুজরাতের জয়ের কাহিনী। যদিও ১৪৩ রানের ইনিংস খেলে সেই রাস্তাটা মসৃণ করে দিয়ে গিয়েছিলেন পার্থিব পটেলই। প্রথম অনিংসে ৯০ এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রান করেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি।