রাখি হালদার।
এশিয়াডে ভারোত্তোলনে একটা পদক পাবেনই, আশা নিয়ে গিয়েছিলেন জার্কাতায়। ফিরেছিলেন ব্যর্থতা নিয়ে। নির্ধারিত ওজন তুলতে না পেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। কিন্তু দমে যাননি। সাড়ে সতেরো মাস নদিয়ার বাড়িতে না গিয়ে পাটিয়ালার শিবিরে পড়ে রয়েছেন রাখি হালদার। এ বার তাঁর লক্ষ্য টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা।
শনিবার পাটিয়ালা থেকে ফোনে দেশের অন্যতম সেরা ভারোত্তোলক বললেন, ‘‘প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ পেয়েছিলাম জাকার্তায়। ট্রায়ালে যা ওজন তুলেছিলান সেটা করতে পারলেই পদক পেতাম। কী ভাবে যে ব্যর্থ হলাম! চাপটা নিতে পারিনি। সেই দুঃখটা মিটবে অলিম্পিক্সে নামার সুযোগ পেলে।’’
অলিম্পিক্সে যোগ্যতা পেতে চিনের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছেন বছর পঁচিশের বঙ্গতনয়া। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে এ বার দু’জন ভারোত্তোলককে পাঠানোর সুযোগ আছে ভারতের। জাকার্তায় চোটের জন্য শেষ মুহূর্তে ছিটকে য়াওয়া মীরাবাঈ চানু যাচ্ছেনই। দ্বিতীয় হিসাবে যাবেন কে? লড়াইতে রয়েছেন দু’জন। বাংলার রাখি হালদার ও উত্তরপ্রদেশের স্বাতী সিংহ। রাখি নামবেন ৬৪ কেজি বিভাগে। আর স্বাতী ৫৯ কেজি বিভাগে। চিনে প্রতিযোগিতা হবে ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল। রাখি কি পারবেন অলিম্পিক্সের যোগ্যতামান পেরোতে? সকাল-বিকেল মিলিয়ে আট ঘণ্টা অনুশীলন করা নদিয়ার দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের মেয়ে বললেন, ‘‘এখনও ট্রায়াল দিইনি। ১২ এপ্রিল ট্রায়াল দেব। তারপর নিশ্চিত হব কত ওজন তুলতে পারব।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘এশিয়াডের চেয়েও কঠিন চিনের এই প্রতিযোগিতা। প্রায় দু’শোর মতো দেশ আসবে শুনেছি। তা সত্ত্বেও আমি আশাবাদী। অলিম্পিক্সে নামার সুযোগটা নিতেই হবে।’’ ডোপ থেকে মুক্তি পেলেও সঞ্জিতা চানু আসেননি শিবিরে। সেটাও সুবিধা করে দিয়েছে রাখিকে। বলছিলেন, ‘‘আমাদের খাওয়ার সব জায়গাতেই ক্যামেরা বসানো আছে। তবুও আমি নিজে নিজের রান্না করে খাই। যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়।’’