স্বার্থ সংঘাত নিয়ে শুনানিতে দ্রাবিড়, সংশয় দু’টি পদ নিয়ে

জানা গিয়েছে, দ্রাবিড়ের পাশে দাঁড়িয়ে নীতি নির্ধারক আধিকারিককে একটি বিশেষ নোট পাঠিয়েছিলেন সিওএ প্রধান বিনোদ রাই। যে নোটে রাই দু’জনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন, যাঁরা এই রকম অবস্থায় পড়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠেনি। এই দু’জন হলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর রঘুরাম রাজন এবং অন্য জন অরবিন্দ পানাগাড়িয়া।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০২
Share:

ডি কে জৈনের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল দ্রাবিড়।

২৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নির্ধারক আধিকারিক, ডি কে জৈনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করে এলেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ নিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বক্তব্য শোনার জন্য দ্রাবিড়কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন জৈন। তবে এই বিতর্কে দ্রাবিড়ের পাশে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কমিটি (সিওএ)।

Advertisement

জানা গিয়েছে, দ্রাবিড়ের পাশে দাঁড়িয়ে নীতি নির্ধারক আধিকারিককে একটি বিশেষ নোট পাঠিয়েছিলেন সিওএ প্রধান বিনোদ রাই। যে নোটে রাই দু’জনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন, যাঁরা এই রকম অবস্থায় পড়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠেনি। এই দু’জন হলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর রঘুরাম রাজন এবং অন্য জন অরবিন্দ পানাগাড়িয়া। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে ছিলেন। দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইন্ডিয়া সিমেন্টস (আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক)-এর পদ থেকে ইস্তফা দেননি দ্রাবিড়। তিনি শুধু ‘কর্মবিরতি’ নিয়েছেন। যার ফলে স্বার্থ সংঘাতের আওতায় পড়ে যাচ্ছেন দ্রাবিড়। সিওএ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। যে কারণে রাই ওই নোট পাঠিয়েছেন। ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘সিওএ প্রধান তাঁর নোটে উল্লেখ করেছেন, দ্রাবিড় ‘কর্মবিরতি’ নিয়ে থাকলে তাকে কোনও স্বার্থ সংঘাতের আওতায় ফেলা যায় না। রাই উদাহরণ হিসেবে আরবিআই গভর্নরের কথা উল্লেখ করেছেন। যিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রকমই ‘কর্মবিরতি’ নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া ‘নীতি আয়োগ’-এর প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দের কথাও বলা হয়েছে। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লিয়েন’-এ এসেছিলেন। দু’জনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর সরকারি পদে ছিলেন। দু’জনের কেউই তাঁদের আগের পদের জন্য বেতন নিচ্ছিলেন না। সিএও মনে করে, দ্রাবিড়ও যখন জানিয়ে দিয়েছে, ইন্ডিয়া সিমেন্টস থেকে ও বেতন নিচ্ছে না, তখন স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নই ওঠে না।’’

তবে সিএও-র এ রকম ধারণা সত্ত্বেও দ্রাবিড়কে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জৈন। এও মনে করা হচ্ছে, বিতর্ক এড়াতে হয়তো দ্রাবিড়কে দু’টি পদের মধ্যে একটি ছাড়তে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement