সমবেদনা: প্রতিপক্ষ আলমাগ্রোর চোট। চিন্তিত নাদালও। ফাইল চিত্র
ক্লে-কোর্টে ষোলো ম্যাচ অপরাজিত থাকলেন রাফায়েল নাদাল। ইতালিয়ান ওপেনের শেষ ষোলোয় উঠলেন নাদাল। চোটের জন্য প্রথম সেটের তিন গেম পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেই ম্যাচ ছেড়ে বেরিয়ে যান নিকোলাস আলমাগ্রো। ফলে ওয়াকওভার পেয়ে শেষ ষোলোয় উঠলেন নাদাল। চোদ্দো বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা নাদাল বলছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারিনি ঠিক কী সমস্যা হয়েছে আলমাগ্রোর। মনে হয় আলমাগ্রোর হাঁটুতে সমস্যা হচ্ছিল।’’ ক্লে-কোর্ট মরসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজের বিধ্বংসী ফর্মও খুঁজে পেয়েছেন নাদাল। কয়েক দিন আগেই মাদ্রিদ ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
নাদাল আবার পুরনো মেজাজে থাকলেও নোভাক জকোভিচ তাঁর অন্ধকার অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আসতেই পারছেন না। মাদ্রিদ ওপেনের সেমিফাইনালে লড়াই করেও নাদালের বিরুদ্ধে হারেন।
ইতালিয়ান ওপেনেও অবশ্য চেনা মেজাজেই শুরু করলেন জকোভিচ। ব্রিটেনের আলজাজ বেদেনে-কে দু’সেটেই উড়িয়ে দেন জকোভিচ। ৭-৬, ৬-২ জিতলেন তিনি। তবে বেদেনে-কে হারালেও প্রাক্তন বিশ্বসেরা মনে করছেন ম্যাচে শুরুটা ভাল হয়নি তাঁর। জকোভিচ বলছেন, ‘‘খুব ধীর গতিতে শুরু করেছিলাম। বেদেনে খুব ভাল প্রতিপক্ষ।’’ প্রথম সেট টাইব্রেকারে জেতেন তিনি। দ্বিতীয় সেটে ৬-২ উড়িয়ে দেন বেদেনে-কে। ‘‘দ্বিতীয় সেটে ঠিকঠাক খেলেছি। র্যালিগুলো খুব ভাল হচ্ছিল। অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে,’’ বলছেন জকোভিচ।
কয়েক দিন আগে ফরাসি ওপেনে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন রজার ফেডেরার। টেনিস কিংবদন্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে জকোভিচ বলছেন, ‘‘ফেডেরার এমন এক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে, যখন ও টুর্নামেন্ট বেছে খেলবে। ওর মতো কিংবদন্তির সিদ্ধান্তকে সব সময় শ্রদ্ধা জানাই। রজারের কীর্তি ভাঙা কার্যত অসম্ভব বাকিদের কাছে।’’