চোটমুক্ত হয়ে নামাটাই লক্ষ্য

বিমল স্যারের রিও রোডম্যাপে এগোচ্ছি, বলছেন সাইনা

পদ্মভূষণ পেয়ে আপ্লুত। তবে রিও অলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে ভাবাচ্ছে চোট। অবশ্য যে ভাবে কোচ, ফিজিওরা সাহায্য করছেন তাতে রিওয় পুরো চোটমুক্ত হয়েই নামতে পারবেন বিশ্বাস সাইনা নেহওয়ালের।

Advertisement

স্বপন সরকার

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

পদ্মভূষণ পেয়ে আপ্লুত। তবে রিও অলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে ভাবাচ্ছে চোট। অবশ্য যে ভাবে কোচ, ফিজিওরা সাহায্য করছেন তাতে রিওয় পুরো চোটমুক্ত হয়েই নামতে পারবেন বিশ্বাস সাইনা নেহওয়ালের।

Advertisement

আপাতত পদ্মপুরস্কারের উৎসবের পর ফের অলিম্পিক্সে ফোকাস বিশ্বের দুই নম্বর হায়দরাবাদি ব্যাডমিন্টন তারকার। আনন্দবাজারকে সাইনা বললেন, ‘‘পদ্মভূষণ পাওয়াটা রিও অলিম্পিক্সে আমাকে নতুন প্রেরণা দেবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এই পুরস্কারের জন্য।”

২০১৫ সাইনাকে প্রচুর সাফল্য দিয়েছে। শুধু বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসেননি, পরপর টুর্নামেন্টে জিতেছেন। অবশ্য সাইনাকে অনেক কিছু হারাতেও হয়েছে। অল ইংল্যান্ড আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ দু’টোরই ফাইনালে হারেন ক্যারোলিনা মারিনের কাছে। পান একের পর এক চোট। প্রথমে পায়ের। গোড়ালির চোটেও দীর্ঘ দিন ভুগেছেন। সে কারণে লখনউয়ে সৈয়দ মোদী গ্রাঁপ্রি থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য হন সাইনা। সম্ভবত সাউথ এশিয়ান গেমসেও নামবেন না। অলিম্পিক্সের বছরে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না সাইনা ও তাঁর কোচ বিমল কুমার। রিওর আগে গুনে-গুনে মাত্র কয়েকটা টুর্নামেন্টে নামবেন।

Advertisement

সাইনা বললেন “আমার ফিজিও ও ট্রেনারদের সাহায্যে আমি খুব তাড়াতাড়ি চোট সারিয়ে উঠছি। বেশ কিছুদিন ধরে গোড়ালির চোটে ভুগছিলাম। তবে আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ লাগছে। রিওতে পুরো চোটমুক্ত হয়ে নামতে পারব বিশ্বাসটা রয়েছে।” সঙ্গে যোগ করেন, “যে ভাবে বিমল স্যার আর প্রকাশ (পাডুকোন) স্যার আমাকে রিওর জন্য প্রস্তুত করছেন তাতে আমি আপ্লুত। ওঁদের মোটিভেশনে আমার মনোবল দারুণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিমল স্যারের গাইডেন্সে আমি নিজের খেলাটাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছি। উনি যে ভাবে সময় দিচ্ছেন তা বলে বোঝানো যাবে না। বিমল স্যার আমার জন্য আলাদা করে রিও রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন। সেটা মেনেই এগোচ্ছি।” স্পেনের মারিনকে বছরের শেষ দিকে সাইনা সুপার সিরিজে হারিয়ে দিয়ে কিছুটা উঠে দাঁড়ান। এ নিয়ে তিনি বললেন, “গত মরসুমের শেষ সুপার সিরিজে মারিনকে হারিয়ে মনোবল কিছুটা বাড়িয়ে নিতে পেরেছি। তবে ওকে ভবিষ্যতে হারাতে হলে আমাকে আরও নতুন নতুন গেমপ্ল্যান বার করতে হবে।”

সাইনা এ-ও মনে করেন যদিও চিনের মেয়েদের ২০১৫ মরসুমটা ভাল যায়নি, কিন্তু রিও অলিম্পিক্সে চিনারা দারুণ ভাবে ফিরে আসবেন বলে তাঁর বিশ্বাস। “চিনা মেয়েদের হালকা করে নেওয়াটা বোকামি। অলিম্পিক্সে ওরা নতুন চমক দিতে ঝাঁপাবেই দেখবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement