PR Sreejesh

দ্রাবিড় দর্শনে কোচিং করাতে চান সৃজেশ

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সৃজেশ বলেছেন, ‘‘আমি রাহুল দ্রাবিড়ের ভক্ত। তরুণদের নিয়ে কী ভাবে কাজ করতে হয়, তার সেরা উদাহরণ দ্রাবিড়। আমিও কোচি‌ংয়ে এলে সেই পন্থা মেনেই নতুন মুখদের নিয়ে কাজ শুরু করতে চাই।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

পিআর শ্রীজেশ। —ফাইল চিত্র।

ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মতোই তিনি নতুন মুখদের সঙ্গে কাজ করতে চান। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছে এমনই মন্তব্য করলেন ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় হকি দলের গোলকিপার পি আর সৃজেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সৃজেশ বলেছেন, ‘‘আমি রাহুল দ্রাবিড়ের ভক্ত। তরুণদের নিয়ে কী ভাবে কাজ করতে হয়, তার সেরা উদাহরণ দ্রাবিড়। আমিও কোচি‌ংয়ে এলে সেই পন্থা মেনেই নতুন মুখদের নিয়ে কাজ শুরু করতে চাই। যদি এক ঝাঁক তরুণ প্রতিভাকে তৈরি করে ফেলা যায়, ভবিষ্যতে তারাই জাতীয় দলের সম্পদ হয়ে উঠবে।’’

কিন্তু কবে তাঁকে কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে? সৃজেশ বলেছেন, ‘‘আমি তো বরাবর কোচিং করানোর বিষয়ে আগ্রহী। তবে কখন সেই কাজটা শুরু করব, সেটাই বড় প্রশ্ন। অবসরের পরে পরিবারের প্রতি নজর দেওয়াই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য হয়ে পড়ে। আমাকে তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলতে হবে। ওরা সম্মতি দিলে আমি সেই দায়িত্ব নিতে পারি। এই মুহূর্তে স্ত্রীর মতামত নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

Advertisement

তবে কোচ হিসেবে তাঁর কর্মপদ্ধতি কী হবে, তার প্রাথমিক একটা নকশা ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন তারকা। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি কোচিংয়ের কাজ ২০২৫ সালে শুরু করি, তার দুই বছরের মধ্যে রয়েছে জুনিয়র বিশ্বকাপ এবং সিনিয়র বিশ্বকাপ। অর্থাৎ ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে আমি কমপক্ষে ২০ থেকে ৪০ জন খেলোয়াড় তৈরি করে ফেলতে পারব। সেখান থেকে ২০৩০ সালে সিনিয়র দলের জন্য ১৫ থেকে ২০ জন সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে পারি।’’ যোগ করেন, ‘‘এই ভাবে এগোতে পারলে ২০৩২ সালের মধ্যে প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করে ফেলতে পারব। ২০৩৬ সালে ভারত যদি অলিম্পিক্স আয়োজন করে, তা হলে আমি ভারতীয় দলের কোচ হতে চাই।’’

সৃজেশ আরও বলেছেন, ‘‘এটাই দেশের হয়ে শেষ অলিম্পিক্স ছিল। সতীর্থরা আমার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে খেলেছে, তাই এই ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরতে পেরেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ওরা যে ভাবে লড়াই করেছে, তার কোনও তুলনা চলে না।’’

হকি থেকে অবসর নেওয়ার পরে কী কোনও শূন্যতা অনুভব করছেন? সৃজেশ বলেছেন, ‘‘এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তাই বলে হকির অগ্রগতি থামবে না।’’ আরও বলেন, ‘‘সকলকেই একটা জায়গায় গিয়ে থেমে যেতে হয়। কিন্তু একজন সরে গেলে অন্যরাও সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসে। বরং ভাল লাগছে, শেষ অলিম্পিক্স বলে সতীর্থরা আমার জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়ে পদক নিশ্চিত করেছে। এই স্মৃতি কোনওদিন ভুলতে পারব না। পদক নিয়েই অবসর নিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement