আটলেটিকো দে কলকাতার প্র্যাকটিসে নতুন রং এনে দিল একদল খুদে!
সেটা কী রকম?
সল্টলেকের একটি ফুটবল স্কুল থেকে তিন, চার বা খুব বেশি হলে পাঁচ বছরের কিছু খুদে ফুটবলার বৃহস্পতিবার হাজির হয়েছিল পস্টিগা-হিউমদের প্র্যাকটিস দেখার জন্য। ফুটবলের এ-বি-সি-ডি শিখতে শুরু করা খুদেদের কাছে পস্টিগা-অর্ণব-বোরহা-হিউমদের সামনে থেকে প্র্যাকটিস করতে দেখাটাই ছিল বড় প্রাপ্তি। প্রত্যেকে এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিল যে গোটা প্র্যাকটিসেই এটিকে, এটিকে বলে চিৎকার করতে থাকে তারা। রোজকার নিঃশব্দ প্র্যাকটিসের তুলনায় তাই এ দিনের প্র্যাকটিস অনেকটাই আলাদা ছিল। অন্য মাত্রা যোগ হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করছেন এটিকে কোচ-ফুটবলাররা। এটিকে-র সহকারী কোচ বাস্তব রায় যেমন বলছিলেন, ‘‘ওই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো আমাদের টিম সম্পর্কে দেখি সব জানে। গোটা প্র্যাকটিসেই তো এটিকে, এটিকে বলে চিৎকার করে গেল। নিঃসন্দেহে এটা ফুটবলারদের উৎসাহিত করেছে।’’ অর্ণব মণ্ডল আবার বলছিলেন, ‘‘ছোটরা এ দিন আসায় সত্যি ভাল লেগেছে। দিল্লি যাওয়ার আগে ওরা আমাদের মোটিভেট করে গেল।’’
এটিকে ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিয়েই খুদেদের প্র্যাকটিস দেখতে নিয়ে আসা হয়েছিল। আটলেটিকোর জার্সি পরে এসে মলিনার প্র্যাকটিস সেশন মাতিয়ে দিয়ে যায় খুদেরা। যাদের পেয়ে বোরহা, তিরিরাও খুব খুশি হন। কোনও কোনও ফুটবলারকে দেখা যায় খুদেদের কোলে তুলে আদর করতেও। ফুটবলারদের সঙ্গে খুদেরা ছবিও তোলে। আন্তোনিও হাবাসের টিমের কাছে হেরে আসার পর সব এটিকে ফুটবলারই কিছুটা মনমরা হয়ে ছিলেন। তাঁদের এ দিন অক্সিজেন জুগিয়ে গেল খুদে ফুটবলাররা।
শনিবার জামব্রোতার টিমের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে দিল্লি উড়ে যাচ্ছে আটলেটিকো। এই মুহূর্তে পর পর তিন ম্যাচ জিতে দিল্লি ডায়নামোস খুবই আত্মবিশ্বাসী। তবে আটলেটিকোর ফুটবলাররাও দিল্লি থেকে কোনও ভাবে খালি হাতে ফিরতে রাজি নন। শোনা যাচ্ছে, এটিকে কোচ নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে হাবাসের টিমের বিরুদ্ধে জাভি লারাকে শুরু থেকে না নামানো নিয়ে আফসোস করেছেন। দিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভবত জাভি লারা শুরু করবেন। দিল্লি ম্যাচটা কলকাতা টিমের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখার, জয়ের হ্যাটট্রিক করা দিল্লিকে রবিবার পস্টিগারা আটকে দিতে পারেন কি না!