ম্যাচের আগের ঘটনার পর মাঠের দখল নিয়েছে পুলিশ। ছবি: এএফপি।
জাকার্তার স্থানীয় ফুটবলের ঘটনা। এমনটা নতুন কিছু নয়।
২০১২ থেকে এই নিয়ে ফুটবল মাঠের বাইরের লড়াইয়ে মৃত্যু হল ৭ জনের। দক্ষিণ-পূর্ব জাকার্তার ঘটনা। রবিবার স্থানীয় ফুটবল লিগে খেলা ছিল পারসিব বুনদুং ও পারসিজা জাকার্তার মধ্যে। হোম ম্যাচ ছিল পারসিবের। ইন্দোনেশিয়ার সেরা পেশাদার লিগে এই দুই দলের লড়াইয়ের কথা সকলেরই জানা।
দলকে সমর্থন করতে বানদুংয়ে পৌঁছেছিলেন পারসিজার ২৩ বছরের সমর্থক হারিঙ্গা সিরলা। স্টেডিয়ামের বাইরেই তাঁর উপর চড়াও হন বানদুংয়ের একদল সমর্থক। লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। প্রায় ১৬ জন হোম টিমের সমর্থককে এই ঘটনার জন্য গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যানালিস্টের বিচারে ২০১২ থেকে এটি সপ্তম মৃত্যু ফুটবল ক্লাব সমর্থকদের লড়াইয়ে।
ইন্দোনেশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘আশা করব ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলে আর এরকম ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসনের সঠিক নজরের অভাবেই এমনটা হচ্ছে। আগে কঠিন শাস্তি হত না বলেই এটা বেড়ে গিয়েছে।’’ ১৯৯৪ থেকে এই নিয়ে ৭০ জনের মৃত্যু হল। সিরলা ৭০তম শিকার।
আরও পড়ুন
চূড়ান্ত ব্যর্থ অ্যাজার, পয়েন্ট নষ্ট করল চেলসিও
ইন্দোনেশিয়ায় গত জুলাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এএফএফ কাপ খেলতে গিয়ে সমর্থকদের রোষের স্বীকার হতে হয়েছিল মালয়েশিয়া জাতীয় দলকে। কারণ সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। এই কারণে ২০১৫তে ফিফা থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল ইন্দোনেশিয়াকে। গত বছরই সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়।বিদেশি প্লেয়ারদের সঙ্গেও ক্লাবে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় খেলতে গিয়ে টাকা না পেয়ে চিকিৎসার অভাবে অতীতে মৃত্যুও হয়েছে দু’জন ফুটবলারের।
গত মাসেই এই ইন্দোনেশিয়ায় বসেছিল এশিয়ান গেমসের আসর। যদিও সেখানে তেমন কিছু হয়নি। ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রচুর পদক নিয়েই ফিরেছেন ভারতীয়রা। এশিয়ান গেমস ঘিরে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল জাকার্তার। প্রশাসনও ছিল তৎপর। সেই তৎপরতাই স্থানীয় ফুটবলে চাইছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন।