অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে ইউসুফ ও ইরফান।
ইরফান, ইউসুফ পাঠানের ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মেন্টর গ্রেগ চ্যাপেল!
বেশ অবিশ্বাস্য শুনতে লাগলেও ঘটনাটা সত্যি। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বরোদার ক্রিকেটার-ভাইরা আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের এই অ্যাকাডেমির কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিলেন চ্যাপেলের সঙ্গে তাঁদের নতুন চুক্তির খবরও।
দেশের ক্রিকেট মহলে চ্যাপেল ও ইরফান পাঠানের কোচ-ক্রিকেটার সম্পর্কের কুখ্যাতি কম নয়। ইরফানকে গিনিপিগ বানিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শেষ করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গ্রেগের বিরুদ্ধে। তাঁকে ভবিষ্যতের কপিল দেব বানাতে গিয়ে যে বোলার ইরফান পাঠানেরও বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল, এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। ভারতের অন্যতম সেরা বোলিং প্রতিভার ‘অপমৃত্যু’র পর ইরফানের ‘মানসিক দূর্বলতা’-কে তাঁর সর্বনাশের জন্য দায়ী করেছিলেন গুরু গ্রেগ। সেই গ্রেগ চ্যাপেলকে ইরফান ও ইউসুফ পাঠানের অ্যাকাডেমির মেন্টর করে আনার খবর তাই অনেককেই অবাক করেছে।
গ্রেগ।
‘ক্রিকেট অ্যাকাডেমি অব পাঠানস্’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দাদা ইউসুফের পাশে দাঁড়িয়ে ইরফান এ দিন বলেন, “ক্রিকেট আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। এ বার আমাদের ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। খুদে ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে বড় ক্রিকেটার গড়ে তোলার জন্য অ্যাকাডেমি গড়ার স্বপ্ন ছিল আমার। সেই স্বপ্ন এত দিনে সফল হতে চলেছে। অক্টোবরে প্রথমে বরোদায় শুরু করব। তার পর ক্রমশ আরও পঞ্চাশটা শহরে এই অ্যাকাডেমিকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
কিন্তু ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচের ভূমিকায় থাকা গ্রেগ চ্যাপেলকে মেন্টর করে আনার কারণটা কী? ইরফান সুকৌশলে বিতর্ক এড়িয়ে গিয়ে শুধু বলেন, “অ্যাকাডেমি কোচ হিসেবে ওঁর খ্যাতি যথেষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন উনি। তাই অ্যাকাডেমির কোচিংয়ে গ্রেগকে বিশেষজ্ঞ বলা যায়। সে জন্যই আমাদের অ্যাকাডেমিতে ওঁকেই কাজে লাগাতে চাই।” মূলত অ্যাকাডেমির কোচদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সেখানকার প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে উন্নতির রাস্তা বাতলে দেওয়াই হবে গ্রেগের কাজ।
অ্যাকাডেমি গড়লেও নিজেরা অবশ্য কোচিং-য়ে এখনই ঢুকতে চান না পাঠান ভাইয়েরা। তাঁরা মূলত অ্যাকাডেমির কাজ দেখাশোনা করবেন বলে জানালেন ইউসুফ। বললেন, “আমরা এখনও ৭-৮ বছর খেলব। ভারতের হয়েও খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমরা দু’জনই। তাই এখনই কোচিং করব না।”
ছবি: পিটিআই।