আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হওয়ার দৌড়ে ভেসে উঠল বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির নাম। —ফাইল চিত্র।
টাইটেল স্পনসর হিসেবে আসন্ন আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছে চিনা স্পনসর ভিভো। ভিভো সরে যাওয়ায় বিসিসিআই আইপিএলের জন্য নতুন টাইটেল স্পনসর খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে মেগা টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর হওয়ার দৌড়ে আচমকাই উদয় হল ‘পতঞ্জলি’।
রামদেবের এই সংস্থার মুখপাত্র এস কে তিজারাওয়ালা ‘ইকনমিক টাইমস’কে বলেছেন, ‘‘এ বারের আইপিএলে আমরা টাইটেল স্পনসর হতে চাই। গোটা বিশ্বে পতঞ্জলি ব্র্যান্ডের বাজার তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’’
আইপিএলের সঙ্গে পতঞ্জলির নাম জড়িয়ে পড়লে সংস্থাটির নামও ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই কথা মাথায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে প্রস্তাব দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিজারাওয়ালা।
তবে ক্রীড়া ও বাণিজ্যিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, আইপিএলের টাইটেল স্পনসর পতঞ্জলি হলে মেগা টুর্নামেন্টের খুব একটা লাভ হবে না। বরং অনেক বেশি লাভ হবে পতঞ্জলির। চিনা পণ্যের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হয়ে গিয়েছে দেশে। এ রকম পরিস্থিতিতে দেশীয় কোনও সংস্থা যদি আইপিএলের স্পনসর হয়, তা হলে জনমানসে তার প্রভাব ইতিবাচকই হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই চিনা পণ্য বর্জনের ডাক এ দেশ জুড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা টাইটেল স্পনসরকে আইপিএল-এ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: মেসির জাদুতে শেষ আটে বার্সেলোনা, সামনে লেয়নডস্কিদের দুরন্ত বায়ার্ন
ভিভোকে থেকে যেতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেটে পড়েন অনেকে। বোর্ডের উপরে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই মতামত দেন, ভিভো বয়কট না করলে আইপিএলকেই বয়কট করা হবে। ক্রমশ বাড়তে থাকা চাপের ফলে ভিভো এ বারের আইপিএল থেকে সরে যায়।
সব ঠিকঠাক থাকলে অবশ্য সামনের বছর ফিরে আসতে পারে ভিভো। ফলে বোর্ডকে এ বারের জন্য কেবল টাইটেল স্পনসর খুঁজতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জিয়ো, আমাজন, টাটা-সহ একাধিক সংস্থার নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছে। এ বার পতঞ্জলিও টাইটেল স্পনসর হওয়ার সেই দৌড়ে ঢুকে পড়ল।