শ্রীভূমির প্যান্ডেলে মনু ভাকর। —ফাইল চিত্র।
কলকাতায় প্রথম বার দুর্গাপুজো দেখতে আসা। সকালে হরিয়ানার নির্বাচনে ভোট দিয়েই দুপুরের মধ্যে বিমান ধরে কলকাতায় পা রেখেছিলেন প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া ব্রোঞ্জ জয়ী শুটার মনু ভাকর।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী ও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি সুজিত বসুর আমন্ত্রণে এসেছিলেন মনু। পরনে ছিল লাল-পাড় সাদা শাড়ি। একেবারে বাঙালি সাজে আবির্ভাব হয় এই শুটারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনার নেকলেস। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার।
শ্রীভূমিতে এসেই মনু চলে যান দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিতে। মাকে পাশে নিয়ে মঞ্চে উঠে প্রতিমার উদ্দেশে ফুল ছোড়েন। দুর্গামূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। মায়ের কাছে তাঁর প্রার্থনা, পরের বার যেন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স থেকে সোনা আনতে পারেন।
মনুর বক্তব্য শোনার জন্য তখন ভিড় করেছিলেন অনেকে। ভক্তেরা অধীর আগ্রহে বসেছিলেন। মঞ্চে উঠে অলিম্পিক্স পদক জয়ী বলেন, ‘‘প্রথম বার দুর্গাপুজো দেখতে কলকাতায় এলাম। সকালে হরিয়ানায় ভোট দিয়ে এই শহরে এসেছি। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘বাংলা আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু দাদা (সুজিত) যখন কথা বলছিলেন, তখন রসোগোল্লা শব্দটা বুঝতে পেরেছি।’’
মনুর সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন খুদে ফুটবলারেরা। তাদের উদ্দেশে মনুর বার্তা, ‘‘ছোটবেলা থেকে অনেকেই অনেক স্বপ্ন দেখে। আমিও অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কখনও ভাবতাম আইএএস হব, কখনও ভাবতাম পড়াশোনা নিয়ে এগোব। সকলের নানা ধরনের স্বপ্ন থাকে। কখনও সেই স্বপ্নকে নষ্ট হতে দিও না।’’ সংযোজন, ‘‘বিরাট কোহলি, নীরজ চোপড়াদের অনেকেই অনুসরণ করে, কিন্তু তাঁদের সাফল্যের নেপথ্যে কতটা ত্যাগ রয়েছে, সেটাও দেখো। তবেই বুঝবে, সফল হতে গেলে কতটা নিরলস পরিশ্রম করতে হয়। মোবাইল ঘাঁটার অনেক সময় পাবে। কিন্তু তার আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়।’’