প্যারালিম্পিক্সের উদ্বোধন। ছবি: এএফপি।
সেই রিও, সেই অলিম্পিক্স। কিন্তু কত পার্থক্য। সেই উৎসব সেই উত্তেজনা সব উধাও। কারণ একটাই, এটা প্যারালিম্পিক। শুরু হয়ে গেল প্যারালিম্পিক গেমস। উদ্বোধনও হল অনেকটা অলিম্পিক্সের ধাঁচেই। সেই মারাকানা স্টেডিয়াম। যার ৭৮ হাজারের গ্যালারি দেখল হুইল চেয়ারে বসে প্রায় ছ’তলা বাড়ির সমান উচ্চতা থেকে নেমে এলেন অ্যাথলিটরা।
ভিডিওতে ফুটে উঠল প্যারালিম্পিক্সের জন্মের ইতিহাস। কী ভাবে বাকিংহ্যামশায়ারের স্টোক মান্ডিভিলেতে জন্ম নিয়েছিল এই গেম। জন্মের ইতিহাস শেষে প্যারালিম্পিক্স সুইমার ও হুইলচেয়ার বাস্কেটবল প্লেয়ারদের কেরামতি মুগ্ধ করে দেয় দর্শকদের। লাল আলোর আভা ছড়িয়ে এক মায়াবী পরিবেশেই বেজে গেল অলিম্পিক্সের ঘণ্টা।
প্যারালিম্পিক্সের উদ্বোধনে ব্রাজিল দল। ছবি: এএফপি।
অলিম্পিক্স শেষের ১৭ দিন পর একই ভেন্যু, একই পরিকাঠামোর মধ্যে প্যারালিম্পিক্স শুরু হলেও কোথাও যেন নেই সেই চেনা পরিবেশ। গত ৫৬ বছরের ইতিহাসে এতটা খারাপ অবস্থা হয়তো হয়নি প্যারালিম্পিক্সের। যেখানে চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিক্স দেখিয়েছিল হিউম্যান স্পিরিট। কিন্তু বছর ঘুরে আরও একটি অলিম্পিক্স আসতেই যেন বদলে গেল চেহারাটা। প্যারালিম্পিক্সের জন্য বরাদ্দ টাকা আয়োজকরা খরচ করে ফেললেন অলিম্পিক্সের পিছনে। তবুও উদ্বোধন জমকালো করার চেষ্টা ছিল। ভর্তি ছিল মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
উদ্বোধন শেষে ১৫৯টি দেশের ৪৩০০ অ্যাথলিট পর পর নেমে পড়লেন মঞ্চে। এ ছাড়া ছিলেন দু’জন উদ্বস্তু অ্যাথলিট ইনডিপেন্ডেন্ট দলের হয়ে। প্রতিযোগির সংখ্যার হিসেবে এটাই সব থেকে বড় প্যারালিম্পিক্স। শুধু ছিল না নির্বাসিত রাশিয়া।
আরও খবর
প্রোদুনোভা বদলে কর্মকার ভল্ট নাম চান বাইলস