ছবি রয়টার্স।
যেমনটা ভেবেছিলাম, ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেটাই হল। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং জয় এনে দিল দলকে। এখন আর কোনও লক্ষ্যই বড় নয়। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের মতো দলের কাছে। ওরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জেতার রাস্তা খুঁজে বার করেছে।
পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ১৯৫ রান তুললেও ইংল্যান্ড কখনওই চাপে ছিল না। যে কারণেই বলছি, এই খেলাটা এখন ব্যাটসম্যানদের দিকে ভীষণ ঝুঁকে পড়েছে। বাইশ গজে বোলারদের জন্যও কিছু থাকা দরকার, যাতে খেলাটায় ভারসাম্য আসে। ৫০ ওভারের ক্রিকেট যখন সবে শুরু হয়েছে, নিষ্প্রাণ পিচেও ওভার পিছু চার রানের বেশি হত না। এর পরে ভারী ব্যাট, দিন-রাতের খেলা, পুরোপুরি সাদা বলের ব্যবহার এবং আরও নিষ্প্রাণ পিচ— রান ওঠার গতি বাড়িয়ে দেয়। আমার মতে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যদি প্রথম দল ১৫০-১৬০ রান করে এবং সেই রান তুলতে প্রতিপক্ষকে লড়াই করতে হয়, তা হলে ম্যাচটা দেখতে দর্শকদেরও আগ্রহ তৈরি হয়। খেলাটার সঙ্গে জড়িত সবার দেখা উচিত, টি-টোয়েন্টি নিয়ে যেন এই আগ্রহটা বেঁচে থাকে। না হলে কিন্তু ওয়ান ডে ক্রিকেটের রাস্তাতেই হাঁটবে টি-টোয়েন্টি।
এর পরেও বলব, অইন মর্গ্যান আর দাউয়িদ মালানের ব্যাটিং দেখতে দারুণ লেগেছে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলল এই দু’জন। বড় রান তাড়া করার কোনও চাপ ছিল না ওদের উপরে। আজ, মঙ্গলবার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বাবর আজমদের ফিরে আসা কঠিন। যদি পরে ব্যাট করে, আর ইংল্যান্ডকে ২০০ রানের কমে আটকাতে পারে, তা হলেই পাকিস্তানের একটা সুযোগ থাকবে সিরিজ ১-১ করার। (টিসিএম)