শহরে পা রেখে রবিবার সকালেই ইডেনে অনুশীলনের জন্য পৌঁছে গিয়েছে পাক দল। ১৯ মার্চ এখানেই ভারতের বিরুদ্ধে নামবে তারা। তাই ম্যাচের আগেই শহরে যেন উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। পারফরম্যান্সের দিক থেকে ভারত পাকিস্তানের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলছেন। তুলনায় পাকিস্তানের সম্প্রতি এশিয়া কাপে পারফরম্যান্স বিচার করলে দেখা যাবে, অনেকটাই ইমব্যালান্সড। বিশেষ করে আফ্রিদিদের ব্যাটিং লাইন আপ। ভারত-পাক ক্রিকেট ইতিহাসে একটা পরিসংখ্যান আছে যে, বিশ্বকাপে ভারতকে কখনওই হারাতে পারেনি পাকিস্তান। আবার ভারতও এই ইডেনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে এশিয়া কাপ ভারতের যে পারফরম্যান্স তাতে পাকিস্তানকে বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ইডেনে যে-ই টস জিতুক, আগে ব্যাট করা উচিত। কারণ পরের দিকে ডিউ ফ্যাক্টর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বোলিং যথেষ্টই ভাল। তবে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার আকিব জাভেদ বলেছেন, “এই পাক টিমটার মধ্যে কোনও প্যাশন বা আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নেই। যেন খেলার আগেই হেরে বসে আছে।” তিনি আরও জানান, ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে গেলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আক্রমণাত্মক হতে হবে। ৯০-এর পাক দলের সঙ্গেও তুলনা টানেন তিনি। ওই সময় যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলত পাক দল, এখন সেটাই উবে গিয়েছে।
ভারত-পাক ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। তা-ও আবার বাঙালির শহরে। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের চোখ থাকবে ১৯ মার্চের এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের উপর। তবে গৌতম গম্ভীর এটাকে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ হিসাবে দেখতে নারাজ। এটাকে হাই-ভোল্টেজ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদমাধ্যমকেই দুষেছেন। তিনি বলেন, “এক জন ক্রিকেটারের কাছে এটা সেই মাত্রার গেম নয়। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয় করা।” তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ ধোনিদের সমর্থন করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাল ক্রিকেটকে উপভোগ করা উচিত মানুষের।”