বীরেন্দ্র সহবাগ । ছবি: আইসিসির টুইট থেকে।
দিনটি ছিল ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর। যে দিন এক ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেটকে নিজের ব্যাটের দাপটে জানান দিয়েছিলেন তাঁর আগমনবার্তা। অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটে রাজত্ব করতে চলে এসেছেন নজফগড়ের নবাব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্লুমফন্টেনে তাঁর অভিষেক ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৫ রানের ইনিংস। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। সচিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতের ইনিংসকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ৩৭৯তে। সচিনের ব্যাট থেকেও এসেছিল ১৫৫ রান। সেই শুরু। তার পর থেকে শুধুই উত্থান। ছ’নম্বর থেকে ওপেনিং সবটাই ছিল মনোরঞ্জক।
আরও পড়ুন
ইউরোপা লিগের ম্যাচ শুরুর আগেই রেড কার্ড ফুটবলারের
সেই ম্যাচে ৫১ রানে প্রথম তিন উইকেট চলে গিয়েছিল ভারতের। শিব সুন্দর দাস, রাহুল দ্রাবিড়। ভিভিএস লক্ষ্মণ পর পর ফিরে যান। এর পর ক্রিজে আসেন সচিন। সৌরভও ফেরেন মাত্র ১৪ রান করে। ব্লুমফন্টেনের মাঠে তখন ভারতকে ধরাশায়ী হতে দেখার অপেক্ষা। কে জানত একটা নতুন ছেলে এসে ঘুরিয়ে দেবে সেই ম্যাচের মোর। সেই সময় তাঁকে পুরো সচিনের কার্বন কপি মনে হত। হাঁটা চলা, ব্যাটিং সব। যদিও সেই ম্যাচ ভারতকে হারতে হয়েছিল। কিন্তু সচিন-সহবাগের জুটিতে পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে এসেছিল ২২০ রান। সহবাগের ১০৫ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১৯টি বাউন্ডারিতে। অভিষেকেই সেঞ্চুরির তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে ১১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
‘ধোনির মতো ক্রিকেটার কখনও দলের ব্যর্থতার কারণ হতে পারে না’
এর পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল প্রথম ওপেনার হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবে। কারণ সেই সময় ভারতীয় ওপেনাররা পর পর ফ্লপ করছিলেন। আর নতুন ভূমিকায় সহবাগের সাফল্য তো ইতিহাস। সেই সময় তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটো ট্রিপল সেঞ্চুরি। সঙ্গে ভারতীয় দল পেয়েছিল একজন টেকনিকের তোয়াক্কা না করা গেম চেঞ্জার। সম্প্রতি দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ফিরোজ শাহ কোটলায় বীরেন্দ্র সহবাগের নামে গেটও হয়েছে। আজ আইসিসি টুইট করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে বীরুকে।
দেখুন আইসিসির টুইট
দেখুন আইসিসির টুইট _!
দেখুন আইসিসির টুইট