ব্যাটিং বিপর্যয়, বোলিংয়ে ব্যর্থতা, খারাপ ফিল্ডিং এবং স্থানীয় আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অজুহাত।
বাংলায় সাপ্লাই লাইন তৈরির জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভিশন ২০২০ শুরুর পরেও মরসুমের শুরুতেই এই সব অজুহাত ঘোরাফেরা করছে বাংলা ক্রিকেট শিবিরে।
মুম্বই ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণির দলের কাছে পরপর ম্যাচে হেরে নিজেদের উদ্যোগে করা চ্যালেঞ্জার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল বাংলার। লক্ষ্মীদের ফাইনালে তুলতে শেষ পর্যন্ত সিএবি কর্তাদের আলমারিতে থাকা ধুলো পড়া টুর্নামেন্ট রুলবুক থেকে বস্তাপচা রানরেটের নিয়ম বের করে বাংলাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হল।
অথচ টুর্নামেন্টে সব কিছুই হচ্ছে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে। এক ইনিংসে দুই বল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-র আধুনিক নিয়ম ইত্যাদি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। সেখানে হঠাত্ সেই আদ্দিকালের নিয়ম কেন মানা হবে? সিএবি কর্তাদের কাছে এর কোনও সরকারি ব্যাখ্যা নেই।
বাংলাদেশের (৩০৯) কাছে ৭৪ রানে হারার পর বিকেলে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে স্কোরাররা বাংলার বিদায় ঘোষণা করার পরও রাতে সিএবি-র সহ-সচিব অনু দত্ত বলে দিলেন, “এই টুর্নামেন্টে পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে যে ‘অ্যাভারেজ রান রেট’ (দলের মোট রান/মোট ওভার) দেখার কথা, তা স্কোরাররা জানতেন না। ওরা ‘নেট রান রেট’ (আন্তর্জাতিক নিয়ম) হিসেব করে বলে দিয়েছিল বাংলা ছিটকে গিয়েছে।” নেট রানরেটে বাংলা চার দলের মধ্যে চার নম্বরে। কিন্তু সিএবি-র নিয়মে বাংলা দুই। বাংলাকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখতে যে এই নিয়ম কাজে লাগানো হল, তা জানাল সিএবি-রই একাংশ। মুম্বই ফাইনালে আগেই পৌঁছেছে। শুক্রবার মুম্বই কর্নাটককে হারাতে পারলে বাংলাই ফাইনালে উঠবে। কর্নাটক জিতলে অবশ্য সিএবি কর্তাদের চেষ্টাও মাঠে মারা যাবে।
এ দিন দিন্দার ফের ব্যথা শুরু হওয়ায় খেলেননি। কিন্তু বীরপ্রতাপ সিংহ, মহম্মদ আশরাফউদ্দিনরা যে ভাবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের প্রথম দশ ওভারেই প্রায় ৭০ রান দিয়ে বসলেন, যে ভাবে বাংলাদেশের ছয় ও সাত নম্বর ব্যাটসম্যান একশোর কাছাকাছি পার্টনারশিপ গড়তে দিলেন, তাতে অনেকেই শঙ্কিত।
কোচ, ক্যাপ্টেন এই নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও নির্বাচক-প্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, “আমার তো মনে হয় ওরা ভালই খেলেছে। দুশ্চিন্তায় ডোবার মতো কিছু হয়নি।” তবে মেনে নিলেন এ দিন “বোলিং ও ফিল্ডিং বেশ খারাপ হয়েছে। এগুলোয় আরও ভাল করতে হবে।” ব্যাটিংটাই বা কী এমন ভাল? বাংলাদেশের ৩০৯ তাড়া করতে নেমে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ৬৬ বাদ দিয়ে সবচেয়ে বেশি রান বীরপ্রতাপের, ৩৪। অরিন্দম ২৬, লক্ষ্মীরতন শুক্ল ২৫, সৌরাশিস লাহিড়ী ২৪ করে আউট। বাংলা ৪৮.১ ওভারে ২৩৫-এ অল আউট।