ত্রয়ীর টিকিট নিশ্চিত করার লড়াই

বিশ্বকাপের টিকিট ‘আরএসি’ থেকে ‘কনফার্ম’ করার শেষ সুযোগ। এই তিন ক্রিকেটার হলেন, ঋষভ পন্থ, বিজয় শঙ্কর এবং কে এল রাহুল। আরও এক জন অবশ্য ওয়েটিং লিস্টে আছেন। তিনি দীনেশ কার্তিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪২
Share:

ফুরফুরে: অনুশীলনের ফাঁকে মহম্মদ শামির সঙ্গে কোহালি। পিটিআই

ঘরের মাঠে মাত্র পাঁচটি ওয়ান ডে ম্যাচ। আর এই পাঁচটি ওয়ান ডে ম্যাচই হতে চলেছে ভারতীয় দলের তরুণ তিন ক্রিকেটারের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার চূড়ান্ত মঞ্চ। বিশ্বকাপের টিকিট ‘আরএসি’ থেকে ‘কনফার্ম’ করার শেষ সুযোগ। এই তিন ক্রিকেটার হলেন, ঋষভ পন্থ, বিজয় শঙ্কর এবং কে এল রাহুল। আরও এক জন অবশ্য ওয়েটিং লিস্টে আছেন। তিনি দীনেশ কার্তিক। কিন্তু এই ওয়ান ডে সিরিজে দলে না থাকার ফলে কার্তিকের সামনে কোনও সুযোগ নেই নিজেকে ফের প্রমাণ করার।

Advertisement

বাকি তিন জন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, এক বার দেখে নেওয়া যাক।

কে এল রাহুল: ত্রয়ীর মধ্যে দলে ঢোকার লড়াইয়ে সামান্য এগিয়ে তিনি। দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ইনিংস তাঁকে এই জায়গায় এনে দিয়েছে। বিরাট কোহালিও বলেছেন, ‘‘রাহুল অবশ্যই নিজেকে তুলে ধরেছে। আশা করব, এই ফর্মটা ও ধরে রাখতে পারবে। ক্রিকেটীয় শট খেলে, ১৪০-১৫০ স্ট্রাইক রেটে নিয়মিত রান পাচ্ছে, এ রকম ব্যাটসম্যান পাওয়া কঠিন।’’ রাহুল খেললে তিন নম্বর ওপেনার হিসেবেই যাবেন। এর আগে রাহুলকে বলে দেওয়া হয়েছিল, মিডল অর্ডারে নয়, দল তাঁকে নিয়মিত ওপেনার হিসেবেই দেখছে।

Advertisement

বিজয় শঙ্কর: নিউজিল্যান্ডে ভাল ব্যাট করে নজরে চলে এসেছেন। ভারতীয় দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কও এই অলরাউন্ডারকে হিসেবের মধ্যে রেখেছে। দিন কয়েক আগে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ বলেছিলেন, ‘‘বিজয়ের উত্থান পুরো অঙ্কটাই বদলে দিচ্ছে।’’ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য সে রকম সুযোগ পাননি। বিজয় শঙ্করকে নিয়ে সমস্যা হল তাঁর বোলিং। সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তনরা মনে করেন, পুরো দশ ওভার বল করার মতো বোলার নন বিজয়। হার্দিক পাণ্ড্য কোনও কারণে সুস্থ না হলে বিজয়ের যাওয়া নিশ্চিত। আর হার্দিকের পাশে জায়গা করে নিতে গেলে এই সিরিজে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ঋষভ পন্থ: প্রতিভার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যে সফল হতে পারেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা তো বটেই, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তনরাও ঋষভকে বিশ্বকাপ দলে দেখতে আগ্রহী। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যাঁর কোচিংয়ে কয়েক দিন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সফল হয়েছিলেন ঋষভ, সেই কিরণ মোরে বলেছিলেন, ‘‘ছেলেটার মধ্যে দারুণ খেলা আছে। ভবিষ্যতের সম্পদ হয়ে উঠবে।’’ অধিনায়ক কোহালিও চান, ঋষভকে যত বেশি সম্ভব ম্যাচে এখন সুযোগ দিতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যর্থতা অস্বস্তিকর প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ ঋষভের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। গোটা দুয়েক বড় ইনিংস তাঁকে বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দিতে পারে। অভিজ্ঞ কার্তিকের হাতে অবশ্য আর কিছু নেই। কয়েক দিন আগেও যাঁকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে দেখা হচ্ছিল, তিনি এখন ওয়ান ডে দলে ব্রাত্য। কার্তিকের সামনে সুযোগ আসতে পারে কেউ খুব খারাপ খেললে বা চোটের শিকার হলে।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ তাই এখন দু’দেশের দ্বৈরথ ছাপিয়ে কারও কারও কাছে ব্যক্তিগত লড়াই হয়ে উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement