...এখনই উচ্ছ্বাস দেখাতে চাই না। অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সিরিজ জিতলে নিশ্চয়ই সাক্ষাৎকার দেব। তার আগে টিম নিয়ে লম্বা কথাবার্তা বেকার। এটুকু বলি, টিমটা দারুণ ভাবে সাড়া দিয়েছে। আজকে একটা অদ্ভুত হিসেব শুনছিলাম যে, ১৯৯০-এর পর এ দেশের মাঠে আমরা দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজ জিতিনি। ভাবাই যায় না! নব্বইয়ের সেই দলটাতে আমিও ছিলাম। আপ্রাণ চাইব যাতে চব্বিশ বছরের লজ্জার ইতিহাসটা মুছে ফেলা যায়। সুরেশ রায়না শুনলাম আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছে। ইন্ডিয়া থেকে এসএমএস পেলাম। সত্যি কথা বলি, রায়নাকে আমার মোটেও তেমন মোটিভেট করতে হয়নি। কালকের ওর ইনিংসটা ওয়ান ডে-তে আমার দেখা অন্যতম সেরা। রায়নার অ্যাটিটিউড বরাবরই খুব ভাল। আমার পূর্বাভাস হল ও এক দিন টেস্ট ক্রিকেটেও দাঁড়িয়ে যাবে।
আমাদের ইয়ং বোলাররাও কালকে ভাল বল করেছে। মোহিত শর্মাকে দেখে আমি খুব ইমপ্রেসড। ইংল্যান্ডের উপর ও দারুণ চাপ তৈরি করেছিল। আমি দেখছি আমাদের তরুণ ফাস্ট বোলারদের পুলটা বেশ ভাল। রবীন্দ্র জাডেজা সম্পর্কেও আমি খুব আশাবাদী। ও হয়তো একটা টাফ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দারুণ লড়াকু ছেলে। বিরাটের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি বলে দিলাম, বিরাট আর শিখরের রানে ফিরে আসাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ধোনিও কালকে ভাল ব্যাট করেছে। ড্রেসিংরুমে বসে টিমটাকে অলরাউন্ড এত ভাল খেলতে দেখাটা খুব সুখকর অভিজ্ঞতা। আশা করব, রেশটা ধরে রাখা যাবে।
ও, আর একটা কথা। অ্যালান উইলকিন্স কালকের প্রি ম্যাচ শো-তে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, ইন্ডিয়ান টিমে বস কে? আমি বলি কেন? তখন ও বলে, খবরের কাগজে অনেক কিছু বেরোচ্ছে। আমি উত্তর দিই, অ্যালান তুমি তো আমায় জান যে আমি ম্যাচের সময় খবরের কাগজই পড়ি না। আর বস কে? আমাদের ড্রেসিংরুমে একটা চেয়ার খালি আছে। তুমি চাইলে এসে বসে পড়তে পার! আমার মতে এগুলো কোনও ইস্যুই নয়। ফ্লেচার প্রধান কোচ। আর তাঁর সব রকম সম্মান প্রাপ্য। আমি এখন তাকিয়ে আছি পাখির চোখের মতো শুধু সিরিজের ট্রফির দিকে। যাবতীয় কথাবার্তা তার পর...