চিন্তা: র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকাদের খেলার সুযোগ কম, বলছেন নোভাক। ।
করোনা অতিমারিতে এলোমেলো হয়ে যাওয়া মরসুম শেষের মুখে। বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জ়োকোভিচের যাবতীয় উদ্বেগ ক্রমতালিকার নীচের দিকে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে। বিশেষ করে, যাঁরা প্রথম ৫০০ জনেরও বাইরে রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে। আপাতত সার্বিয়ান মহাতারকা ভাবছেন, ২০২১-এর নতুন মরসুমে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। করোনা অতিমারির জন্য পরিস্থিতি ক্রমশ ক্রীড়া সংগঠকদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেরা পর্যায়ের টেনিস এ’বছর আবার শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন নোভাক। কিন্তু তার সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘ক্রমতালিকায় নীচের দিকে থাকা অনেকেই এখন অসুখী। প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগই যে ওরা পাচ্ছে না!’’
ষষ্ঠ বার ট্রফি জিতে রেকর্ড স্পর্শ করার লক্ষ্যে লন্ডনে এটিপি ফাইনালস খেলতে আসা জ়োকোভিচ বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় টেনিসের সেরা মঞ্চগুলোয় খেলতে পারাটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে নতুন ভাবে বড় টুর্নামেন্টগুলো শুরু হওয়ায়।’’ ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের সংযোজন, ‘‘কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভাবলে ব্যাপারটা যন্ত্রণাদায়ক মনে হচ্ছে। পেশাদার টুরের প্রথম সারিতে প্রতিযোগিতার সংখ্যা সত্যিই খুব কম। ক্রমতালিকার উপরের দিকের খেলোয়াড়রাই একমাত্র সেখানে খেলতে পারে।’’ এখানেই থামেননি কিংবদন্তি তারকা। তিনি মনে করেন, দ্বিতীয় ধাপের চ্যালেঞ্জার পর্যায়ের টেনিস প্রতিযোগিতাগুলিতে যাঁরা খেলতে পারছেন না, তাঁদেরই বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ‘‘ক্রমতালিকায় ৫০০-র নীচে রয়েছে এমন অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। ওরা চায়, ওদের জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হোক,’’ বলেছেন নোভাক।
জ়োকোভিচের লক্ষ্য টেনিসের ‘সার্বিক উন্নতি’। সম্প্রতি খেলোয়াড়দের পেশাদার সংস্থা (পিটিপিএ) সৃষ্টির অন্যতম কারিগর তিনি। এই সংস্থা স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। তিনি বলেছেন, ‘‘পিটিপিএ টেনিসের সমস্ত পরিচালন গোষ্ঠীগুলিকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবে। আমাদের সব রকম ভাবে খেলোয়াড়দের পাশে থাকতে হবে। দেখতে হবে চালু ব্যব্যস্থাতেই যাতে সবাই সর্বাধিক উপকৃত হয়। খেলোয়াড়দের আরও খেলার সুযোগ দেওয়াই লক্ষ্য। এই সুযোগটা আসলে তো কর্মসংস্থান। তাদের নিয়েই চিন্তা বেশি, যাদের টেনিস খেলাটা রুটিরুজি। এই মুহূর্তে টেনিস থেকে বেঁচে থাকার রসদ পায় মাত্র ২০০ জন। অথচ খেলে আরও অনেক অনেক বেশি ছেলেমেয়ে।’’