নোভাক জোকোভিচ। — ফাইল চিত্র।
টেনিস আয়োজকদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের লড়াই থামছেই না। কিছু দিন আগে পুরুষ এবং মহিলাদের টেনিস সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খেলোয়াড়েরা। এ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম আয়োজকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন তাঁরা। দাবি, আরও বেশি অর্থ এবং কথা বলার অধিকার।
গত ২১ মার্চ চিঠিটি পাঠানো হয়েছে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আয়োজকদের। এপ্রিলের শেষে মাদ্রিদ ওপেনের পর খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রধানের মুখোমুখি বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছে। মহিলাদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জন তাতে সই করেছেন। পুরুষদের প্রথম ১০ জন খেলোয়াড়েরই সই রয়েছে। সেই তালিকায় নোভাক জোকোভিচ, ইয়ানিক সিনার, এরিনা সাবালেঙ্কা, কোকো গফ প্রত্যেকেই রয়েছেন।
খেলোয়াড়দের দাবি মূলত তিনটি। প্রথমত, খেলোয়াড়দের জন্য কল্যাণমূলক যে কাজকর্ম রয়েছে, সেখানে গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতাগুলিকে আরও বেশি আর্থিক সহায়তা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে যে আর্থিক লাভ হয় সেই অনুপাতে পুরস্কারমূল্য আরও বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ সংক্রান্ত যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেখানে সরাসরি খেলোয়াড়দের কথা বলার অধিকার আরও বেশি থাকবে।
গত ১৯ মার্চ আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থাগুলির কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে প্রথম বার বিদ্রোহ করেন টেনিস খেলোয়াড়েরা। নেতৃত্বে ছিলেন জোকোভিচ। তাঁর তৈরি আন্তর্জাতিক টেনিস খেলোয়াড়দের সংগঠন পিটিপিএ মামলা করে চার টেনিস সংস্থার বিরুদ্ধে। মূলত খেলোয়াড়দের প্রতি বিমাতৃসুলভ মানসিকতার প্রতিবাদ করে মামলা করা হয়। নিউ ইয়র্কের ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়।
১৬৩ পাতার নথিতে বলা হয়, টেনিস খেলোয়াড়েরা এখন কর্তাদের কারচুপির অংশ হয়ে গিয়েছেন। নিজেদের টেনিসজীবন এবং ব্র্যান্ডের প্রতিও তাঁদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। বিরোধিতা করা হয় সূচি, র্যাঙ্কিং এবং ছবির স্বত্বের নিয়মেরও। জোকোভিচ ছাড়াও তাঁর সংস্থার ১২ জন খেলোয়াড় মিলে মামলা দায়ের করেন। তার মধ্যে সহ-সংগঠক ভাসেক পসপিসিল এবং নিক কিরিয়স রয়েছেন। ছেলেদের টেনিস সংস্থা (এটিপি), মেয়েদের টেনিস সংস্থা (ডব্লিউটিএ), আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা (আইটিএফ) এবং আন্তর্জাতিক টেনিস সংহতি সংস্থার (আইটিআইএ) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।