আবেগ আর নয়, চাই পুরনো মাশরাফিকে

তাসকিন আহমেদ বিশ্বকাপের মধ্যেই নির্বাসিত হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। মাশরাফি মর্তুজার সেই কান্নার ছবি ক্রিকেটবিশ্বে এত দিনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৪:৩০
Share:

এই মাশরাফিকে আজ মাঠে চান প্রাক্তনরা।

তাসকিন আহমেদ বিশ্বকাপের মধ্যেই নির্বাসিত হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। মাশরাফি মর্তুজার সেই কান্নার ছবি ক্রিকেটবিশ্বে এত দিনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তুমুল লড়েও টিম হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপে টিকে থাকাই এখন অনিশ্চিত। বুধবার ভারত ম্যাচ। আদতে যা প্রায় সম্মান-যুদ্ধ। তার আগে বর্তমান অধিনায়কের উদ্দেশ্যে মরণ-কামড়ের টোটকা পদ্মাপার থেকে ফোনে দিলেন দুই প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক। যার মধ্যে হাবিবুল বাশার ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কও ছিলেন...

Advertisement

মহম্মদ আশরাফুল

মাশরাফি, তোমাকে প্রথমেই একটা কথার বলার আছে। গত কাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তোমার মনোভাব আমার ভাল লাগেনি। ট্যাকটিক্যাল কিছু ভুল হয়েছে। তোমাকেও দেখে মনে হচ্ছিল যে, ভেতরে ভেতরে ভেঙে গিয়েছ। কিন্তু ভারত ম্যাচ বার করতে গেলে তোমার পুরনো সাহসটা লাগবে।

Advertisement

তাসকিনদের ঘটনাটা ভুলে যাও। চিন্নাস্বামী পিচ নিয়ে বেশি ভেবো না। ভারত স্লো টার্নার দিলেও অসুবিধে নেই। স্লো উইকেটে মুস্তাফিজুর আরও ভয়ঙ্কর। আল-আমিন, তোমার বোলিংয়েও কাজ হবে। ব্যাটিং লাইন আপের টপ থ্রি-কে বলো, আগ্রাসী খেলতে। বোঝাও যে ওদের হারানোর কিছু নেই। তোমার টিমের প্লাস হল, সিনিয়ররা ভাল করছে। সাকিব তো অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিল। এ বার জুনিয়রদের থেকে সেরাটা বার করো। আর তুমি সেই পুরনো মাশরাফিকে ফিরিয়ে আনো। বিশ্বকাপে আছো না নেই ভেবো না, টেনশন কোরো না। বরং ভাবো, ফেভারিটরাও রোজ জেতে না।

হাবিবুল বাশার

আমি মাশরাফির জায়গায় কাল থাকলে একটা জিনিস করতাম। মাঠে নামার আগে টিমকে বলতাম যে, তাসকিন আর সানি বিশ্বকাপে নেই, সেটা অবশ্যই দুঃখের। কিন্তু সেই দুঃখ দিয়ে আমরা ভারতকে হারাতে পারব না। বরং নিজেদের সিস্টেম থেকে ওই দু’টো নাম বার করে দাও। টিমের শক্তি নিয়ে ভাবো। তাসকিন নেই, মুস্তাফিজুর তো রয়েছে।

মুস্তাফিজকে প্রথম দিকে একটা ওভার করিয়ে সরিয়ে নিক মাশরাফি। একটা রাখুক মিডল ওভারে, বাকি দু’টো ডেথে। নাসিরের মতো অভিজ্ঞ স্পিনার খেলানো নিয়েও ভাবা হোক। সবচেয়ে বড়, টিমের ব্যাটসম্যানদের বলা হোক ১৭০ প্লাস দিতে। নইলে ভারতীয় ব্যাটিংকে হারানো যাবে না।

আর মাশরাফি, আমি জানি তুমি আবেগপ্রবণ। কিন্তু এত ভেঙে পড়বে কেন? মানছি আইসিসির ওই একটা সিদ্ধান্তে টিমের পরিকল্পনাটাই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে সব শেষ হয়ে গেল। এর আগেও তো অনেক ম্যাচ খেলেছ যেখানে কখনও তামিম, কখনও সাকিব নেই। তার পরেও কি গত দেড় বছরে স্মরণীয় জয় দাওনি? আমরা এ বার হয়তো আর বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যেতে পারব না। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ভাল করলে সবাইকে বোঝানো যাবে মাশরাফি মর্তুজা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও লড়াই ছাড়ে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement