সুয়ারেজ-নেইমার। ক্লাবের বন্ধুত্ব ভুলে যুযুধান।
এন বনাম এস। এল পিস্তলেরো বনাম ওয়ান্ডারকিড। প্রত্যাবর্তন বনাম ভবিষ্যৎ।
ক্লাব যুদ্ধে সাময়িক বিরতি রেখে দেশের জার্সিতে নামবেন মহাতারকারা। কেউ কেউ আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলিতে। কেউ কেউ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে।
এ সপ্তাহের সেই ক্যালেন্ডারের হেডলাইন ম্যাচ— ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ে। যেখানে বার্সেলোনার দুই সুপারস্টার সতীর্থ যুদ্ধ করবেন একে অপরের বিরুদ্ধে। নেইমার বনাম সুয়ারেজ। লিও মেসির সঙ্গে ক্লাব জার্সিতে তাঁরা বিশ্বফুটবলের সর্বকালের সেরা ত্রিফলা তৈরি করতে পারেন। একসঙ্গে ডিনারে যেতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় সময় শনিবার সকালে দুই মহাতারকাই একে অপরকে রাশিয়া পৌঁছনোর থেকে আটকানোর লড়াইয়ে নামবেন। দুই বন্ধুর মেগালড়াই আর তাতে কোনও বাজি থাকবে না সেটা আবার হয় নাকি? ঐতিহাসিক লাতিন আমেরিকার এই যুদ্ধে যে হারবে তাঁকে শাস্তি হিসেবে বিজয়ীকে হ্যামবার্গার খাওয়াতে হবে। উরুগুয়ে অনুশীলনের ফাঁকে এমনটাই জানালেন সুয়ারেজ। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি নেইমারের সঙ্গে বাজি ধরেছি। আমাদের মধ্যে যে হারবে তাকে হ্যামবার্গার খাওয়াতে হবে। আমরা এই ম্যাচটা নিয়ে বারবার কথা বলছি। ও আমার খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু আমরা নিজেদের দেশের জন্য সব কিছু দেব এই ম্যাচে।’’
বার্সা জার্সিতে এখন সুয়ারেজ রয়েছেন অপ্রতিরোধ্য ফর্মে। এমএসএন ত্রিফলায় তাঁকেই ধরা হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। অসাধারণ সব গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন। ডিফেন্ডারদের নাস্তানাবুদ করছেন। কিন্তু উরুগুয়ের সুয়ারেজ বলতেই তো প্রথমেই মাথায় আসে চিয়েলিনির ঘাড়ে সেই কামড়। যার জেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছিল। সঙ্গে আবার দেশের জার্সি থেকে প্রায় দেড় বছর নির্বাসিত থাকতে হয়েছিল এল পিস্তলেরোকে। ২০১৪-র সেই ইতালি ম্যাচের পরে এই প্রথম সুয়ারেজ ফিরছেন দেশের জার্সিতে। এল পিস্তলেরো বলছেন, ‘‘২০১৪-র থেকে অনেক বেশি ভাল অবস্থায় আছি আমি। আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগছে।’’
কনমেবল গ্রুপে এই ম্যাচ দুই বনাম তিনের। ৪ ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্টে তিন নম্বরে ব্রাজিল। উরুগুয়ে দুইয়ে। ন’পয়েন্টে। সুয়ারেজ তাঁর সতীর্থের সঙ্গে বাজি ধরলেও উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজ আবার ওয়ান্ডারকিডকে কোনও নম্বর দিচ্ছেন না। মনে করছেন, ব্রাজিল জার্সিতে নেইমার এমন কিছু ভয়ঙ্কর নন। ‘‘ব্রাজিলের নেইমার বার্সেলোনার নেইমারের থেকে অনেক আলাদা। অন্তত পজিশনের দিক দিয়ে। অনেক বেশি রক্ষণাত্মক খেলতে হয় ওকে দেশের জার্সিতে। অর্ধেক বল উইলিয়ান বা ডগলাস কোস্তার পায়ে যায়।’’