কলকাতা ম্যারাথনের নতুন ধোনি।
মীরপুরে হাতে এশিয়া কাপ ওঠার আগেই ধোনির গলায় উঠে গেল বিজয়ীর পদক! তবে ইনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নন। বাহাদুর সিংহ ধোনি। খেলাটাও ক্রিকেট নয়, ম্যারাথন। যে কলকাতা ম্যারাথনে দ্বিতীয় সেরা হলেন এই ধোনি।
তবে ধোনির মতোই বাহাদুর সিংহের পূর্বপুরুষদের আদি বাড়ি উত্তরাখণ্ডের আলমোরায়। সার্ভিসেসের হয়ে দৌড়ন তিনি। পুরস্কার মঞ্চে পদকের সঙ্গে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেক নেওয়ার সময় আশপাশ থেকে চিৎকার উঠল ধো-ও-নি, ধো-ও-নি। এক মুখ হাসি নিয়ে চেক হাতে পরে বাহাদুর ধোনি বলেও দেন ক্যাপ্টেন কুলের বিরাট ভক্ত হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ হয়নি। ‘‘ধোনির কথা যখন শুনি, খুব গর্ব হয়। এক দিন নিশ্চয়ই দেখা হবে ধোনির সঙ্গে। হয়তো ম্যারাথনের পুরস্কার মঞ্চেই,’’ বলেন তিনি।
সকালের তারকা-মেলায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, জুন মাল্য, ঊষা উত্থুপরা। -উৎপল সরকার
দৌড়বাজ ধোনির এ দিন চওড়া হাসির আরও একটা বড় কারণ, তাঁর সতীর্থ সার্ভিসেসের মহম্মদ ইউনুস জিতলেন চ্যাম্পিয়নের পদক। সঙ্গে পাঁচ লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার চেক। তাঁর সময় ২:৩০.২৭। বাহাদুরের থেকে ০.১০ সেকেন্ড কম। আর মেয়েদের হাফ ম্যারাথনে তিন জয়ী হলেন যথাক্রমে জ্যোতি চৌহান (১:২৭.০৬), অনিতা চৌধুরী (১:২৯.৫৫) ও পূজা মণ্ডল (১:৩০.৩৫)।
অবশ্য ধোনিদের সাফল্যের ঝলমলে হাসির পাশাপাশি এ দিন উঠল অব্যবস্থার অভিযোগও। জাতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের অনুমোদিত হলেও ম্যারাথনে ইলেকট্রনিক স্টপ ওয়াচ ছিল না। ছিল না ডোপ পরীক্ষা বা ফিনিশিং লাইনে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা। এএফআই নিযুক্ত রেস ডিরেক্টর মধু কান্ত পাঠকেরই এই অভিযোগ। ফে়ডারেশনের কাছে তাই রেস ডিরেক্টরের কড়া রিপোর্ট জমা পড়ার আশঙ্কাই বেশি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যথেষ্ট টেকনিক্যাল স্টাফ না থাকার। দৌড়নোর সময় রানাররা জল পাননি। খোদ ইউনুসই অভিযোগ করেন, ফিনিশিং লাইনে জল এগিয়ে দেওয়ার কেউ ছিলেন না।
এক গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে সংগঠকদের তরফে অবশ্য কাউকে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি।