পস্টিগাদের সঙ্গে ভিনগাদা।
পরের ম্যাচেই খেলতে হবে এটিকের সঙ্গে। তাই রবীন্দ্র সরোবরে কলকাতাকে মেপে গেলেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড কোচ নেলো ভিনগাদা। কলকাতার ম্যাচ দেখার পাশাপাশি নোটবুকে দেদার পয়েন্ট তুলেও রাখলেন। ম্যাচ শেষে বলে গেলেন ‘‘ওদের জার্সি নম্বর এগারো (দ্যুতি) খুব বিপজ্জনক। ওকে চোখে চোখে রাখতে হবে।’’
স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি বক্সে এ দিন তাঁর টিমের সিইও আদেশির জিজিবয়-কে নিয়ে বসেছিলেন প্রাক্তন পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ ভিনগাদা। নোটবুকে কলকাতার প্রতিটা আক্রমণের মুভ, সেই সময় ডিফেন্স ও মিডফিল্ডের চেহারা, কারা সেকেন্ড বল ধরছেন— সব মন দিয়ে টুকছিলেন। একই সঙ্গে মুম্বইয়ের প্রতি আক্রমণের সময়ে কলকাতার ডিফেন্সের ছবিও আঁকতে দেখা গেল তাঁকে। তখন মলিনার দলের ডিফেন্স ও মাঝমাঠের কোন কোন প্লেয়ার কোথায় কোথায় দাঁড়িয়ে তারও নকশা উঠেছে ভিনগাদার খাতায়। কোনও সমস্যা হলেই সিইও-র সাহায্য নিচ্ছিলেন নর্থ ইস্ট কোচ।
স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘কলকাতা টিমটা বেশ টাফ। গুয়াহাটিতে টিভিতে ওদের খেলা দেখার চেয়ে মাঠেই দেখে গেলাম। বেশ কিছু পয়েন্ট নোট করেছি। যেগুলো এ বার শুক্রবার আমাদের মাঠে প্রয়োগ করতে হবে।’’ ততক্ষণে দেশোয়ালি কোচকে দেখে কলকাতার পর্তিগিজ ডিফেন্ডার সেরেনো, মার্কি পস্টিগা এগিয়ে গিয়েছেন কথা বলতে। ভিনগাদা-ও হাসতে হাসতে তাঁদের সঙ্গে আড্ডা মেরে গেলেন হোটেলে ফেরার আগে। শুধু যাওয়ার সময় বলে গেলেন, ‘‘মাঠে কিন্তু কোনও হাসি-আড্ডা হবে না সে দিন!’’