boxing

অর্থ কষ্টে বক্সার থেকে অটো চালক, জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আবিদ খান এখন স্বপ্নের কারিগর

আরও একটা স্বপ্নের পিছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। এত কষ্টের মধ্যেও তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে এসেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৮:০২
Share:

চুলে পাক ধরলেও আবিদের দুই হাত আগের মতোই চলে। ছবি - টুইটার

একটা সময় বক্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। দুই হাতে দস্তানা বেঁধে রিংয়ে নামলেই তাঁর জয় ছিল নিশ্চিত। তবে পরিবারে ছিল প্রবল অর্থ কষ্ট। তাই শেষ পর্যন্ত পরিবারের পেট চালানোর জন্য প্রাণের চেয়ে প্রিয় খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। বয়স বেড়েছে। চুলে ধরেছে পাক। তবুও দিন-রাত অটো চালিয়ে যান। শুধু তা-ই নয়, অন্যের অটোতেও মালপত্র তুলে দেন। হাতে আসে কিছু টাকা। এক সময় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এই বক্সার নিজের স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন।

Advertisement

তবে আরও একটা স্বপ্নের পিছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। এত কষ্টের মধ্যেও তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে এসেছেন। সেই খবর নেটমাধ্যমে সেটা জানাজানি হতেই তাঁকে সাহায্য করতে চাইছেন আনন্দ মহিন্দ্রার মতো শিল্পপতি থেকে ফারহান আখতারের মতো অভিনেতা। যদিও আবিদ খান কারও কাছে অর্থ সাহায্য নিতে রাজি নন।

বরং বলছেন, “আমার এই সমস্যা তো নতুন নয়। অনেক বছর ধরে এমন সমস্যার মধ্যেই জীবন কাটিয়ে দিলাম। আমার যতটুকু সম্বল আছে সেটা দিয়েই চেষ্টা করে যাব। প্রচার পাওয়ার পর কারও কাছে হাত পেতে টাকা নিলে লোকজন লোভী বলবে। সেটা শুনতে রাজি নই।”

Advertisement

নবীন থেকে প্রবীণ। দুই সময়ের আবিদ খান। ছবি - টুইটার

পাতিয়ালার জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে একটা সময় বক্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আবিদ খান। কিন্তু কোথাও চাকরি জোটেনি। নিজে কোনও অ্যাকাডেমি গড়বেন, সেই অর্থ কিংবা যোগাযোগ তাঁর ছিল না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে চণ্ডীগড় চলে আসতে বাধ্য হন আবিদ।

পেট বড় বালাই। তাই চণ্ডীগড়ে আসার পর অটো চালাতে বাধ্য হন আবিদ। একই সঙ্গে স্থানীয় ধানাস নামক এক জায়গায় দুঃস্থ ছেলেদের বিনামূল্যে বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবুও কারও কাছে হাত পাততে রাজি নন আবিদ। স্বপ্নের কারিগর হয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement