অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা ডমিনিক থিয়েমকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে মন্টি কার্লো মাস্টার্স ওপেনের শেষ চারে উঠে গেলেন রাফায়েল নাদাল। ক্লে-কোর্টের সম্রাটের বিরুদ্ধে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন থিয়েম। শেষ ষোলোর ম্যাচে নোভাক জকোভিচকে হারানোর পরে অনেকেই মনে করেছেন থিয়েমের হাতেই পরাস্ত হবেন নাদাল। কিন্তু এই থিয়েমকেই ৬-০, ৬-২ সেটে হারালেন স্প্যানিশ টেনিস কিংবদন্তি।
সেমিফাইনালে বুলগেরিয়ার গ্রিগোরি দিমিত্রভের মুখোমুখি হতে হবে নাদালকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-৪ ৭-৬ সেটে বেলজিয়ামের দাভিদ গফিনকে হারিয়ে প্রথম বার এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে খেলতে দেখা যাবে দিমিত্রভকে। অথচ নাদালের এটি ১৪তম মন্টি কার্লো সেমিফাইনাল। চোট সারিয়ে যেন আরও সাবলীল ভাবে কোর্টে নড়াচড়া করতে শুরু করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে নিজেই এ বিষয়ে আলোকপাত করলেন নাদাল। তিনি বলছেন, ‘‘আমার মনে হয় আমি অত্যন্ত ভাল একটি ম্যাচ আপনাদের উপহার দিয়েছি। চোট থেকে ফেরার পরে এখনও পর্যন্ত এই ম্যাচটাই আমার কাছে সেরা।’’
নাদালের চেয়ে প্রায় সাত বছরের ছোট ডমিনিক। অথচ স্প্যানিশ তারকার মতোই আগ্রাসী মনোভাবের খেলোয়াড় তিনি। তবুও ৩১ বছর বয়সি নাদালের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়াতেই পারলেন না। কারণ আগ্রাসী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলেছেন নাদাল। বলেছেন, ‘‘ডমিনিক অত্যন্ত আগ্রাসী খেলোয়াড়। সে কারণেই আমাকে আরও আক্রমণ করে খেলতে হয়েছে। আমি জানতাম ওকে ফাইনাল শট মারার সময় দিলেই ওর আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। তাই ডমিনিকের বিরুদ্ধে অতি আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলেই আমি জিততে পেরেছি।’’
মন্টি কার্লো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি ধরে রাখতে পারবেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টে প্রথম বার ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবেন দিমিত্রভও। বুলগেরিয়ার টেনিস তারকাও ক্লে-কোর্টে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে এসেছেন। সে ক্ষেত্রে শেষ চারের এই লড়াই টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে কি না সেটাই এখন দেখার।