সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শুক্রবার কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার পরে সন্ধেবেলাতেই টেলি-কনফারেন্স করেছিলেন এন শ্রীনিবাসন। তাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক রাজ্য সংস্থার কর্তা অংশ নিয়েছিলেন।
শনিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য সংস্থার কর্তাদের নিয়ে বিশেষ সাধারণ বৈঠকের কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন শ্রীনি। রাজ্য সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে কথা বলতেও শুরু করে দিয়েছেন। ভাবনাটা হচ্ছে, পর্যবেক্ষকদের সরিয়ে বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ যাতে পদাধিকারীরা নিতে পারেন।
এই মুহূর্তে বোর্ডে দুই গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হচ্ছেন সচিব অমিতাভ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী। দু’জনেই শ্রীনি-ঘনিষ্ঠ কর্তা। শ্রীনির মদতেই গত বারের নির্বাচনে জিতে এসেছিলেন। তাঁদের দিয়ে বোর্ডের ক্ষমতা হাতে নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে শ্রীনির উপদেশে।
বোর্ডের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা আইপিএল নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন আগামী ৩০ মার্চ। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার চেষ্টা করতে পারেন সচিব অমিতাভ। সোমবারেই বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি-কে তিনি লিখতে পারেন যে, সভা তিনি পরিচালনা করবেন। তার পর সিইও বা পর্যবেক্ষকরা কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখান, সেটাই এখন আগ্রহের বিষয়।
সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবারের রায়ে মৃদু ভর্ৎসনাই করেছে পর্যবেক্ষকদের। বলে দিয়েছে, ‘বোর্ড এবং রাজ্য সংস্থায় আলাদা করে ৯ বছর করে থাকতে পারবে কর্তারা। এটা তো সূর্যের আলোর মতো পরিষ্কার’। এই বক্তব্য থেকে অনেকের মনে হয়েছে, পর্যবেক্ষকরা যে দাবি করছিলেন সব মিলিয়ে ৯ বছর থাকা যাবে, সেটাকে একদম উড়িয়ে দিয়েছে আদালত। এর ফলে শ্রীনি বা বোর্ডের পুরনো কর্তাদের মনোবল কিছুটা বেড়েছে।
শ্রীনি তাই বোর্ড সদস্যদের বলেছেন, দেরি না করে এসজিএম (স্পেশাল জেনারেল মিটিং) ডাকতে হবে। সেখানে দু’টো বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে। আইপিএল কী ভাবে পরিচালনা করা হবে এবং আইসিসি-তে ভারতের লভ্যাংশ নিয়ে কী মনোভাব নেওয়া হবে।