এক দিকে, তরুণ রক্তের খোঁজ। অন্য দিকে, পেসার নিয়ে চিন্তা। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির দল নির্বাচনী বৈঠকের আগে অনেকটা এমন চিন্তাভাবনাই ঘুরছে সিএবিতে।
আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। যার দল নির্বাচনী বৈঠক আজ, রবিবার। মহম্মদ শামি থাকছেন না। অস্ট্রেলিয়া চলে যাবেন। সায়ন ঘোষও নেই। গোড়ালি ভেঙেছে। কিন্তু নাগপুরে যে টিম যাবে, তাতে অন্তত চার জন পেসার থাকা দরকার বলে মনে করা হচ্ছে। অশোক দিন্দা-মুকেশ কুমারের সঙ্গে চাই আরও দু’জন। রবিকান্ত সিংহ, অয়ন ভট্টাচার্যের মতো কোনও কোনও নাম শোনা যাচ্ছে। ঠিক তেমনই ব্যাটিংয়েও জনা কয়েক নতুন মুখ আমদানির কথা চলছে। যাঁরা ঝোড়ো ব্যাটিংটা করে দিতে পারবেন। কিন্তু সিনিয়ররা? তাঁদের কী হচ্ছে?
নির্বাচকদের কেউ কেউ বললেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লদের রেখেই টিম করা হবে। কারণ এঁদের পরিবর্ত নাকি এখনও নেই আর তাই অহেতুক জল্পনা ছড়ানোরও মানে নেই। তার চেয়ে পেসার-সমস্যার সমাধান খোঁজা ভাল। সিএবি-র কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ কর্তার বক্তব্য আবার অন্য রকম। বলা হল, টি-টোয়েন্টির টিমে নিশ্চিত নাকি শুধু তিন জন। মনোজ তিওয়ারি। ঋদ্ধিমান সাহা। অশোক দিন্দা। বাকিরা পরিবর্তনযোগ্য। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার হতশ্রী পারফরম্যান্সে এঁরা এখনও ঘোরতর অসন্তুষ্ট। শুনিয়ে রাখা হল, পারফরম্যান্স, ফিটনেস আর কম্বিনেশনই শেষ কথা হবে। নাম নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে স্থানীয় ক্রিকেটের পারফরম্যান্স। এটাও বলা হল যে, দল নির্বাচনী বৈঠকে অধিনায়ক-কোচকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নাকি বিজয় হাজারে ট্রফির ব্যর্থতা নিয়ে কোচ-অধিনায়ক ও দুই ম্যানেজারের থেকে আলাদা আলাদা রিপোর্ট নিয়েছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলা হচ্ছে, বৈঠকে সিনিয়রদের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেড়া হতে পারে। আর সুযোগ পেলেও টুর্নামেন্টটা যদি কারও কারও অ্যাসিড টেস্ট হয়, অবাক হওয়ার থাকবে না।