কয়েক দিন আগেই ভিনাস উইলিয়ামস আর গারবিনে মুগুরুজার কাছে উইম্বলডনে আমার ডাবলস পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গীদের অপ্রত্যাশিত চোটের ধাক্কায় প্রিয় টুর্নামেন্ট উইম্বলডনে না হলে খেলতে পারতাম না হয়তো। সিঙ্গলসের পাশাপাশি ভিনাস আর মুগুরুজার ডাবলসে দক্ষতার জন্যই প্রস্তাবটা দিয়েছিলাম। কিন্তু দু’জনেই জানিয়েছিল সিঙ্গলসে এ বার খেতাব জেতার সুযোগ কতটা তাদের সামনে। তাই সিঙ্গলসেই খেলতে চায়।
এখন দেখুন সেই দু’জনই উইম্বলডনের সিঙ্গলসের ফাইনালে মুখোমুখি। এখন মনে হচ্ছে সিঙ্গলসে ফোকাস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দু’জনে ঠিকই করেছিল। ২০১৫ উইম্বলডনে সেরিনার কাছে হারার পর মুগুরুজার এটা দ্বিতীয় ফাইনাল। ২০১৬ ফরাসি ওপেনে অবশ্য কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পথে ফলাফলটা উল্টে দেয় সেরিনাকে হারিয়ে মুগুরুজা। কোনও সন্দেহ নেই এ বার নিজের ট্রফি ক্যাবিনেটে উইম্বলডনের ট্রফিটা পেতে মরিয়া হয়ে নামবে মুগুরুজা।
আরও পড়ুন:
ফের ফাইনালে, বিশ্বাস হচ্ছে না ফেডেরারের
২৩ বছর বয়সি মুগুরুজা সার্কিটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সমস্যায় পড়েছিল। যে কারণে এখন ওর বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৫। তবে এ বছর কিন্তু উইম্বলডনে ওকে ভাল ফর্মে দেখাচ্ছে। চতুর্থ রাউন্ডে বিশ্বের এক নম্বর অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরের কাছে একটা সেট হারানো ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে স্ট্রেট সেটে জিতেছে।
ফাইনালে মুগুরুজার প্রতিদ্বন্দ্বী ভিনাস উইলিয়ামস ওর চেয়ে বয়সে ১৪ বছরের বড় এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে। বিশেষ করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে চাপ কী করে সামলাতে হয় ভিনাস খুব ভাল করে জানে। মুগুরুজার মতোই ভিনাসও ফাইনালে ওঠার পথে এ বার মাত্র একটা সেট হারিয়েছে। কয়েক বছর ধরেই জটিল রোগে ভোগা ভিনাসের এই প্রত্যাবর্তনটা কিন্তু অসাধারণ। এ বার ছ’নম্বর উইম্বলডন খেতাবের জন্য ফাইনালে নামবে ভিনাস। তবে ও শেষ খেতাবটা কিন্তু জিতেছিল ৯ বছর আগে। আন্তর্জাতিক টেনিসে যেটা কিন্তু বেশ বড় ব্যবধান।