ধোনিকে আগে ব্যাট করতে পাঠানোর ভাবনা

বরাবাটির বাইশ গজ কী রকম ব্যবহার করবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। ওপর ওপর দেখে  মনে হচ্ছে, ব্যাটিং উইকেট। কিন্তু এখানে অল্প রানে ইনিংস শেষ হওয়ার ইতিহাস আছে। যদিও শেষ ম্যাচে এখানে বড় রানই উঠেছিল।

Advertisement
কটক শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৫
Share:

 ক্লাস: কটকে প্র্যাক্টিসের মাঝে হাল্কা মেজাজে কোচ রবি শাস্ত্রী, যুজবেন্দ্র চহাল, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: পিটিআই

ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে যেমন রইল বরাবাটির বাইশ গজ, তেমনই সবার নজর কেড়ে নিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও।

Advertisement

বরাবাটির বাইশ গজ কী রকম ব্যবহার করবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। ওপর ওপর দেখে মনে হচ্ছে, ব্যাটিং উইকেট। কিন্তু এখানে অল্প রানে ইনিংস শেষ হওয়ার ইতিহাস আছে। যদিও শেষ ম্যাচে এখানে বড় রানই উঠেছিল।

প্রতিবেশী রাজ্যের ক্রিকেটার হলেও বিরাট কোহালির অবর্তমানে মঙ্গলবার দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন ধোনিই। আর প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে দেখা যায়, বাইশ গজ নিয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়তে। পিচ পরীক্ষা করতেও দেখা যায় ধোনিকে।

Advertisement

ধোনিকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টেও। বা বলা ভাল, ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, ধোনির ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন হতে পারে। তাঁকে ওপরের দিকে নামানো হতে পারে। সে রকম হলে আজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার নম্বরে দেখা যেতে পারে ধোনিকে। অর্থাৎ আর ফিনিশার নয়, ধোনিকে অন্য রকম ভূমিকায় খেলানোর ভাবনা চলছে ভারতীয় শিবিরে।

একই সঙ্গে শিশির নিয়েও ছক কষা চলছে ভারতীয় শিবিরে। মঙ্গলবার যেমন দেখা গেল, ভেজা বলে স্পিনাররা অনুশীলন করছেন প্র্যাক্টিসে। উদ্দেশ একটাই। যাতে শিশির পড়লে ভেজা বল গ্রিপ করতে সমস্যা না হয় স্পিনারদের। সন্ধ্যা সাতটা থেকে ম্যাচ। ফলে শিশিরে সমস্যায় পড়বে দু’দলই। তাও টস জিতলে আগে ফিল্ডিং করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

মঙ্গলবার মাঠে এসে ড্রেসিংরুমে ব্যাগপত্র রেখেই ধোনি গিয়েছিলেন পিচ দেখতে। দু’দিক থেকেই পরীক্ষা করলেন পিচ-চরিত্র। তার কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য কভার সরিয়ে উইকেট দেখে নেন ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ রবি শাস্ত্রী। এত মনোযোগ দিয়ে পিচ দেখার অবশ্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে সবার। এই সেই বাইশ গজ, যেখানে ২০১৫-র অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত টি টোয়েন্টি খেলতে নেমে ৯২ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত সেই ম্যাচে হেরেও যায়।

কিন্তু ১১ মাস আগে ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে ম্যাচে সব মিলিয়ে ৭০০-র ওপর রান ওঠে। সেই ম্যাচে ধোনি ও যুবরাজ সিংহের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত ৩৮১ রান তুলে অল্পের জন্য জয় পেয়ে যায়। সেই ম্যাচের পর থেকে আর কোনও ক্রিকেট ম্যাচ এই মাঠে হয়নি।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওই ম্যাচের পরে দর্শক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। মাঠে জলের বোতলও পড়ে। এ বার সে জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো মাঠ ঘিরে ফেলা হয়েছে জাল দিয়ে। যাতে কোনও ভাবে অতীতের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।

ভারতের এই টি-টোয়েন্টি দলে এ বার বেশ কয়েক জন নতুন পেসার রয়েছেন। যাঁদের এক জন বাসিল থাম্পি। যাঁকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে দীনেশ কার্তিক বলে গেলেন, ‘‘দারুণ প্রতিভা। খুব জোরে বল করতে পারে। আর ধারাবাহিক ভাবে ইয়র্কারও দিতে পারে ও। এটাই ওর অন্যতম প্রধান শক্তি বলতে পারেন। ওকে ঠিক মতো তৈরি করতে পারলে বড় বোলার হবে বলেই মনে হয়।’’

এই দলে উনাদকাট, থাম্পি ছাড়াও রয়েছেন দীপক হুডা, ওয়াশিংটন সুন্দর, মহম্মদ সিরাজের মতো নতুন মুখরা। এই নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কার্তিক আরও বলে যান, ‘‘এরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু আইপিএলে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। কেউ কেউ তো ২০-৩০টা ম্যাচও খেলে ফেলেছে আইপিএলে। আগে যেমন তরুণ ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসে একটু ভয় পেয়ে যেত, এখন সে রকম কোনও আশঙ্কাই নেই। ওরা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামে।’’ কটকে অতীতে ঝামেলা হলেও কার্তিক তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। বরং তিনি বলে দিচ্ছেন, ‘‘এই মাঠটা খুব সুন্দর। স্টেডিয়ামও ভরে যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement