মাঠে নেমে ফুল ফোটালেন বেইতিয়া।
মোহনবাগান— ৪ জর্জ টেলিগ্রাফ— ০
(সুহের, চামোরো, নাওরেম, ফ্রান)
চলতি মরসুমে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ জিতল মোহনবাগান। লিগের শুরুটা ভাল হয়নি কিবু ভিকুনার দলের। প্রথম ম্যাচেই পিয়ারলেসের কাছে হার মেনেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। দ্বিতীয় ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র করে মোহনবাগান। রবিবার ঘরের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে গেল বাগান। নজর কাড়লেন সবুজ-মেরুনের নাওরেম। ম্যাচের সেরাও তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে রং ছড়ালেন অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারটি। গোল করলেন, গোলের পাস বাড়ালেন, মন কেড়ে নেওয়ার মতো ড্রিবলিং করলেন। দিনের শেষে তাঁকে নিয়েই চর্চা হল কলকাতা ময়দানে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাওরেম-বেইতিয়াদের খেলায় ছিল পাসিং ফুটবলের ঝলকানি। কাদা মাঠে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণ তৈরি করছিল বাগান। উইং থেকে ভাসানো বলেই এ দিন গোলগুলো পেল সবুজ-মেরুন শিবির। ১৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সুহেরের জন্য সেন্টার করেছিলেন চুলোভা। চলন্ত বলে হেড করে গোল করেন ভিপি সুহের।
এই জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান এ দিন আগাগোড়া ম্যাচের রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৩৫ মিনিটে চামোরো বিষ ঢালেন। বাঁ দিক থেকে গুরজিন্দর কুমারের ভাসানো বলে হেড করে ব্যবধান বাড়ান চামোরো। দীর্ঘ চেহারার স্ট্রাইকার অধিকাংশ গোলই করেছেন হেড থেকে। এ দিনও তাঁর দুরন্ত হেড জর্জ টেলিগ্রাফের জাল কাঁপাল। আক্রমণে শুরুটা হয়েছিল বেইতিয়ার পা থেকেই। আগের ম্যাচে বেইতিয়াকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কিবু। এ দিন শুরু থেকেই বেইতিয়াকে ব্যবহার করেন কিবু। রং ছড়ায় মোহনবাগান।
আরও পড়ুন: কিশোরী সাঁতারুর যৌন হেনস্থা: ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে সুরজিৎ, দিল্লি থেকে নিয়ে যাওয়া হল গোয়ায়
এ দিন লিগের প্রথম ম্যাচ খেললেন ডেনসন দেবদাস। বাগানের প্রাধান্যে ফিকে দেখাচ্ছিল জর্জকে। ৪০ মিনিটে ঝলসে ওঠে দেবদাসের পা। তাঁর ঠিকানা লেখা পাস বাগানের রক্ষেণ কাঁপুণি ধরিয়ে দিয়েছিল। সবুজ-মেরুন অধিনায়ক গুরজিন্দর সেই যাত্রায় দলকে বিপন্মুক্ত করেন। প্রথমার্ধের ছবি দ্বিতীয়ার্ধেও। মোহনবাগানের প্রাধান্য অব্যাহত থাকে। চামোরোকে তুলে দ্বিতীয়ার্ধে মোরান্তেকে পাঠান কিবু। তিনি ভেবেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে জর্জ টেলিগ্রাফ মরিয়া চেষ্টা চালাবে। সেই কারণে ডিফেন্স শক্তিশালী করার দরকার। চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল টেলিগ্রাফ। কিন্তু সবুজ-মেরুন আক্রমণের সামনে ভেঙে পড়ে জর্জের প্রতিরোধ।
৭১ মিনিটে নাওরেম ব্যবধান বাড়ান নাওরেম। ডান দিক থেকে তাঁকে গোলের গন্ধ মাখা বল বাড়িয়েছিলেন চুলোভা। ৮৫ মিনিটে শরীর ছুড়ে ফ্রান গনজালেজ দলের হয়ে চতুর্থ গোলটা করেন। গোলের পিছনে রয়েছেন নাওরেম। জর্জ টেলিগ্রাফের ডিফেন্ডারকে মাটি ধরিয়ে নাওরেমের ভাসানো বলে হেড করেন ফ্রান গনজালেজ। বড় ব্যবধানে জিতে কিবু খুশি। আগামিকাল ইস্টবঙ্গল নামছে। আলেয়ান্দ্রোর দল জিতলে বাগানকে সরিয়ে লাল-হলুদ পৌঁছে যাবে একনম্বরে।