মোহনবাগানে ক্ষমতায় ফিরলেন স্বপনসাধন বসু (টুটু)।—ফাইল চিত্র
বিপুল ভোটে জিতে মোহনবাগানে ক্ষমতায় ফিরলেন স্বপনসাধন বসু (টুটু) ও তাঁর ২১ অনুগামী। রবিবার ভোটের ফলের যা হিসেব তাতে প্রায় আশি শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছে টুটুবাবুর প্যানেল। দুই প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় (কোষাধ্যক্ষ) এবং বিদেশ বসু (ইউথ ডেভেলপমেন্ট) আছেন ওই প্যানেলেই। সহ সচিব পদে সৃঞ্জয় বসু ও অর্থ সচিব পদে দেবাশিস দত্ত জিতেছেন। সর্বোচ্চ ভোট পেলেন সৃঞ্জয়।
ভোট গননা শেষ হওয়ার আগেই টুটু অবশ্য বলে দেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য এ বার আই লিগ জেতা। সে জন্য যা করার দরকার করব। কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলব। কোনও সমস্য হবে না।’’ ভোট দিতে এসে সদস্যরা তাঁর কাছে আইএসএল খেলা, নতুন স্পনসর ও ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও নানা দাবি করেন। নতুন সচিবকে তাদের আশ্বস্ত করে বলতে শোনা যায়, ‘‘সব হবে এ বার।’’
তেইশ বছর সচিব থাকার পর অঞ্জন মিত্র মনোনয়ন জমা দিয়েও শেষ দিনে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তবে তাঁর মেয়ে সোহিনী-সহ বাকি অনুগামীরা ছিলেন লড়াইয়ে। টুটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সচিব নির্বাচিত হলেও, নিজের গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া ছিলেন। অঞ্জন ভোট দিতে না এলেও সকাল থেকে টুটু ঠায় বসেছিলেন ক্লাব তাঁবুতে। ফলে উত্তেজনা ছিল। ৮৫৮৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিতে এসেছিলেন ৪৯৫২ জন। অর্থাৎ প্রায় আটান্ন শতাংশ। দীর্ঘ লাইন এক সময় ক্লাব তাঁবু থেকে চলে যায় স্ট্র্যান্ড রোড পর্যন্ত। সংগঠিত ভাবে ভোটার আনা হয় কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ব্যালট বক্স দেরিতে আসায় ভোট শুরু হয় আধ ঘণ্টা দেরিতে। শেষ হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। বহু প্রাক্তন ফুটবলার, রাজ্যের অনেক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও আমলাদের দেখা যায় ভোটের লাইনে। মহিলা ভোটারদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা করেন তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। প্রচুর পুলিশ থাকলেও তাদের কোনও ঝামেলা পোহাতে হয়নি।