—ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল যখন আই লিগের প্রস্তুতির জন্য মালয়েশিয়ায় শিবির করতে যাচ্ছে, তখন মোহনবাগান কার্যত অভিভাবকহীন!
আট বছর পর কলকাতা লিগ জিতেছেন দিপান্দা ডিকারা। খেতাব জেতার পর উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলেন সদস্য-সমর্থকরা। অথচ সেই দলেরই আই লিগের অনুশীলন শুক্রবার সকালে শুরু হল নিঃশব্দে। কর্তারা তো নয়ই, ফুটবল বিভাগের এক জন কর্মী ছাড়া কাউকেই দেখা যায়নি মাঠে। কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী অনুশীলন করিয়ে ফেরার পর বললেন, ‘‘কী যে হবে বুঝতে পারছি না? আমি তো আই লিগের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলার জন্য বসে আছি। দু’জন বিদেশি এখনই দরকার। কিন্তু কার সঙ্গে কথা বলব?’’ তেরো বছর সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলছেন শিল্টন পাল। বলছিলেন, ‘‘ক্লাব অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আই লিগের অনুশীলন শুরুর দিন এ রকম শুনশান কখনও দেখিনি। দেখা যাক পরবর্তী সময়ে কী হয়? সব কিছুই তো মানিয়ে নিচ্ছি।’’
কর্তারা ব্যস্ত নির্বাচনের কাজে। শাসক এবং বিরোধী দুই গোষ্ঠীই পাড়ায় পাড়ায় সভা করতে ব্যস্ত। আই লিগ শুরুর আগের দিনই নির্বাচন। ফলে কেউই দল নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। এরই মধ্যে ডেঙ্গি হানা দিয়েছে। সাসপেন্ড হয়ে থাকা সুখদেব সিংহের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা হচ্ছে। হেনরি কিসেক্কা ছাড়া বাকি তিন বিদেশিই এসে পড়েছেন শহরে। ইউতা কিনোওয়াকির জ্বর। তাই আসেননি। চোট সারিয়ে বহুদিন পরে মাঠে নেমেছেন মেহতাব হোসেনও। পিয়ারলেসের স্টপার দলরাজ সিংহ ও দীপঙ্কর সরকারকে নিয়েছে মোহনবাগান। ডিকাদের কোচের আশা ২ অক্টোবর হেনরি-সহ ২৮ জনকেই পেয়ে যাবেন। শঙ্করলাল বললেন, ‘‘পাঁচটি অনুশীলন ম্যাচ খেলব বলে ঠিক করেছি। কিন্তু তাদের সঙ্গে খেলব সেটা এখনও জানি না। প্রথম ডিভিশনের কিছু দলের সঙ্গে খেলা যায় কী না সেটা দেখছি।’’