আই লিগে তাদের বাকি সব ম্যাচ বারাসত থেকে রবীন্দ্র সরোবরে ফেরাতে নতুন করে ঝাঁপাল মোহনবাগান।
তার জন্য নতুন করে পরিবেশ আদালতের কাছে সোমবার আবেদন জানালেন বাগান কর্তারা। তবে এ বার আর শুধু এক ম্যাচের জন্য নয়। গোটা মরসুমের জন্যই। অর্থাৎ আই লিগের সঙ্গে এএফসি ক্লাব কাপের ম্যাচও সরোবরে খেলতে চাইছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। একটা সময় শোনা যাচ্ছিল, এএফসি কাপের জন্য মোহনবাগান মুম্বইয়ের কুপারেজ স্টেডিয়ামকে হোম গ্রাউন্ড হিসাবে দেখিয়েছে। কিন্তু এখন সবুজ-মেরুন কর্তারা রবীন্দ্র সরোবরেই এএফসির সব ম্যাচ করতে চাইছেন।
বাগান কর্তারা দু’টো যুক্তির উপর জোর দিচ্ছেন।
এক) নিয়ম মেনে যদি আইএসএলের ম্যাচ রবীন্দ্র সরোবরে হতে পারে, তা হলে আই লিগের ম্যাচ হবে না কেন?
দুই) রবিবারই সরোবর সংলগ্ন একটি সিনেমা হলের উল্টো দিকে মূল স্টেডিয়াম চত্ত্বরের মধ্যেই তীব্র স্বরে মাইক বাজিয়ে, আলোর রোশনাইয়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারলে, ফুটবল ম্যাচ হতে দোষ কোথায়? এর পরেও বাগানের যুক্তি, শহর জুড়ে অসংখ্য মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার আছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এ জন্য পরিযায়ী পাখি আসতে পারছে না। সরোবরে যদি খেলা বন্ধ হয় পাখির অসুবিধের কারণে, তা হলে মোবাইল টাওয়ার বন্ধ করা হচ্ছে না কেন?
গত ৮ জানুয়ারি চার্চিলের বিরুদ্ধে মোহনবাগান খেলতে চেয়েছিল সরোবরে। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ একই দিনে স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় জলসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মোহনবাগান সচিব অঞ্জনৈ মিত্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘সরোবরে মাইক বাজিয়ে, আলো জ্বালিয়ে জলসা করা গেলে, ফুটবল ম্যাচ কেন করা যাবে না? আবার গ্রিন বেঞ্চের কাছে অ্যাপিল করেছি। মঙ্গলবারই শুনানি হতে পারে।’’ রবীন্দ্র সরোবরে ম্যাচ করার বিষয়ে হঠাৎ-ই আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাগান। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত আবার বলছেন, ‘‘আদালতের সব নিয়ম মেনে রবীন্দ্র সরোবরে ম্যাচ করতে চাই। আইএসএলে তো বক্স বাজানো হয়েছিল, সেটাও করব না। শুধু আলো জ্বালাব। এবং এটিকে ম্যাচের সময় যা করা হয়েছিল তেমন ভাবেই কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেব চারপাশ।’’ মঙ্গলবার পরিবেশ আদালত ম্যাচের অনুমতি দিলে ১৩ জানুয়ারি বাগান বনাম লাজং ম্যাচ সরোবরে করতে পারবেন কর্তারা। অনুমতি না পেলে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তাঁরা।