গোলের পর মহমেডানের ডোডজকে ঘিরে দলের উচ্ছ্বাস।
মহমেডান ১ (ডোডজ)
মোহনবাগান ০
এক প্রস্থ নাটক আর পর পর হার। মোহনবাগান কলকাতা লিগ শেষ করল এ ভাবেই। না হলে শুরুটা খারাপ ছিল না। কোচ শঙ্করলালের তত্ত্বাবধানে এক ঝাঁক নবাগতকে নিয়ে ভালই চলছিল মোহনবাগান রথ। কিন্তু বাধ সাধলেন সেই কর্তারা। মোহনবাগান মাঠে দেড় মিনিট বাকি থাকা টালিগঞ্জ ম্যাচ শেষ করতে পারা গেল না দর্শকদের তাণ্ডবে। তার পর থেকেই শুরু হল কর্তাদের নাটক। যার জেরে ডার্বি খেলতেই গেল না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ডার্বিহীন কলকাতা লিগ শেষে মোহনবাগানের ভাঁড়ার শূন্য। সঙ্গে থাকল একঝাঁক হতাশ মুখ। সেই হতাশা ফুটবলারদের, সেই হতাশা প্রথম বড় ক্লাবের কোচিং করাতে নামা কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর।
রবিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মহমডানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। এ বার মাঠের সঙ্গে পরিচিত হতে দু’দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল দল। যে কারণে ডার্বি খেলল না মোহনবাগান। কিন্তু তাতে কী লাভ হল। মহমেডানের কাছে ১-০ গোলে হেরেই লিগ শেষ করতে হল তাদের। শুরু থেকেই মহমেডানের আক্রমণ ছিল অনেকটা বেশি। শুরু থেকেই গোলের জন্য ছটফট করছিল মহমেডান। দু’দিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে যেতে হয়েছিল। তাই এদিন জিততে মরিয়া ছিল মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেরা। প্রথমার্ধ যদিও শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় সাদা-কালো ব্রিগেড। যার ফল ডোডজের দূরপাল্লার শট সরাসরি চলে যায় মোহনবাগান গোলে। কিছু করার ছিল না বাগান গোলকিপারের।
এক গোল হজম করে মানসিকভাবে আরও পিছিয়ে পড়েন ডাফিরা। ৬৩ মিনিটেই বিদেমির সামনে সুযোগ চলে এসেছিল। কিন্তু অল্পের জন্য বাইরে গেল। ৭৭ মিনিটে সরণ সিংহর ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে সেই বলে ডাফির হেডও বাইরে যায়। আজ কোনওভাবেই মোহনবাগানের দিন ছিল না। ৯ ম্যাচে মোহনবাগান শেষ করল ১৯ পয়েন্টে তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে মহমেডানের পয়েন্ট ২০। শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল অল-উইন রেকর্ড নিয়ে শেষ করল ২৭ পয়েন্টে।
আরও খবর
রিপ্লে ম্যাচে টালিগঞ্জের কাছে হার মোহনবাগানের