সুভাষের ভরসা বোয়া-সোনি।
বিদেশে টিম নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে রওনা হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে মোহনবাগান টিডি সুভাষ ভৌমিক তাঁর ফরোয়ার্ড জুটিকে তুলনা করলেন শঙ্কর-জয়কিষেনের সঙ্গে! “সোনি আর বোয়া হল আমার শঙ্কর-জয়কিষেণ। যখন একসঙ্গে বাজবে, তখন দেখবেন কী জাদু!”
যদিও ভুটানে কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে সুভাষ খুব সম্ভবত পাচ্ছেন না ‘শঙ্কর’-কে। সোনি নর্ডির সবুজ-মেরুন জার্সিতে অভিষেক হতে-হতে হয়তো কিংস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচ।
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েছেন হাইতি স্ট্রাইকার। আগের সূচি অনুযায়ী সোনির ফেরার কথা ছিল ২০ নভেম্বর। এখন শোনা যাচ্ছে, সোনি ফিরবেন ২১ তারিখ। তার পর ভুটানা যাবেন। স্বভাবতই ড্রুক ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বাগানের প্রথম ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই-ই। সুভাষ অবশ্য বলছেন, “সোনি না থাকলেও টিমের বাকিরা তো রয়েছে। সমস্যা হবে না।” বাগান সূত্রে আবার খবর, সোনিকে প্রথম ম্যাচেই খেলানোর চেষ্টা চলছে।
কলকাতা লিগের পর বুধবার মিডিয়ার সামনে প্রথম মুখ খুললেন বাগান টিডি। প্র্যাকটিসের কতকটা চমকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসেন সুভাষ। এত দিন ক্লাব কর্তাদের নির্দেশে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। সারদা কাণ্ডের জেরে সিকিম গোল্ড কাপে খেলতে যাওয়া হয়নি মোহনবাগানের। ফেড কাপের প্রস্তুতি হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার কিংস কাপ খেলতে ভুটান উড়ে যাচ্ছেন কাতসুমিরা। ফাতাইয়ের পরিবর্তে আসা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার অ্যালেক্স পেট্রোমেনের কাছে বাগান জার্সি নিশ্চিত করার পরীক্ষা কিংস কাপ। সুভাষ বললেন, “ফাতাই ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলতে অভ্যস্ত ছিল। আমি ওই ছকে খেলাই না। তাই আমার টিমে ও মানিয়ে নিতে পারল না। আর অ্যালেক্সকে কিংস কাপে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” এ দিন অ্যালেক্স এবং দিল্লির ক্লাব থেকে আসা আয়ুষ্মান চতুর্বেদী সই করেন বাগানে।