বারাসতে সঞ্জয় সেনের টিমের শুক্রবারের ম্যাচ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হল।
মোহনবাগান বনাম লাজং ম্যাচের দিন বিকেলে বারাসতে যাত্রা উৎসব উদ্বোধন করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগণার পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার বাগান কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হল, ভিভিআইপি নিরাপত্তার কারণে তাদের পক্ষে ওই দিন মাঠে পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে মাথায় হাত কাতসুমি-দেবজিৎ-প্রণয়দের টিমের কর্তাদের।
এই আবহে আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ আদালতে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বাগানের বাকি আই লিগের ম্যাচ হবে কী না তা নিয়ে শুনানি। সবুজ-মেরুনের পক্ষ থেকে যে আবেদন আদালতে পেশ করা হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, আলো জ্বালানোর শর্ত হিসাবে আইএসএলে যা করা হয়েছিল সব করতে তাঁরা প্রস্তুত। তাঁরা বরং পাখিদের যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য কোনও মাইক বা বক্স ব্যবহার করবে না। যা করেছিল আটলেটিকো দে কলকাতা। বারাসতে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর তাঁদের আবেদন বিচারক সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে আশায় বাগান কর্তারা। অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘বাগানের ঐতিহ্য এবং অসংখ্য সমর্থকের কথা ভেবে আদালত আশা করছি আমাদের আবেদন ভেবে দেখবে এবং রবীন্দ্র সরোবরে খেলা করার অনুমতি দেবে। ফুটবলের স্বার্থে কেউ এর বিরোধীতা করবেন না।’’ কর্তাদের আশা আই লিগ এবং এএফসি-র ম্যাচগুলো পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্র পাবে। সম্ভবত সেই কারণেই সরোবরে এটিকে-র ভাড়া করে আনা ফ্লাডলাইট এখনও খোলা হয়নি। মাঠের অনেক কিছুই রয়ে গিয়েছে। যা আইএসএলের ম্যাচ করার সময় ছিল।
শুক্রবার বারাসতে ম্যাচ না হলে পয়েন্ট কাটা যাবে বাগানের। হতে পারে জরিমানাও। সে ক্ষেত্রে যদি রবীন্দ্র সরোবরে ম্যাচ খেলার অনুমতি না পাওয়া যায় তা হলে কী করবেন বাগান কর্তারা। জানা গিয়েছে, আই লিগের সেরা দল গড়া বাগান সে ক্ষেত্রে ফাঁকা স্টেডিয়ামেই ম্যাচ করবে। বাগানের এক কর্তা বললেন, ‘‘আইএসএলের কোনও ম্যাচে কিন্তু আপত্তি তোলেনি কলকাতা পুলিশ। তখনও মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি সভা হয়েছিল কলকাতায়। রাজ্য পুলিশ হলেই নানা ঝামেলা।’’