দুরন্ত গোল চামোরোর।
মোহনবাগান — ৩ রিয়েল কাশ্মীর— ১
(চামোরো, সুহের-২) (ক্রিজো)
দিনকয়েক আগেও মোহনবাগান সমর্থকরা সালভা চামোরোকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। স্পেনীয় স্ট্রাইকারের কানে তা কেউ পৌঁছে দিয়েছিলেন কি না জানা নেই। তবে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে চামোরোর কামান দাগা শট বাগান সমর্থকদের বুকে এনে দেয় স্বস্তি। ওরকম গোল দেখার জন্যই তো সমর্থকরা মাঠে আসেন। চামোরো ও সুহেরের (২) গোলে রিয়েল কাশ্মীরকে ১-৩ হারিয়ে মোহনবাগান চলে গেল ডুরান্ড কাপের ফাইনালে।
কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। কলকাতা লিগে সবুজ-মেরুনের পারফরম্যান্স দেখে সমর্থকরা ভেঙে পড়েছিলেন। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে রং ছড়াল মোহনবাগান। যুবভারতীর মাঠে খুলে গেল বেইতিয়া-মোরান্তেদের পাসিং ফুটবল। ঠিক যখন মনে হচ্ছে মোহনবাগান ফাইনালে পৌঁছে গেল ঠিক তখনই কহানি মে টুইস্ট। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে কাশ্মীরের হয়ে হেডে সমতা ফেরান ক্রিজো। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ইস্টবেঙ্গল-গোকুলম ম্যাচও গড়িয়েছিল এক্সট্রা টাইমে। তার পর টাইব্রেকারে খেলার ফলাফল হয়। মোহনবাগান অবশ্য সেই পথে যায়নি। ফ্রান গঞ্জালেজের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন সুহের। এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে ফের গোল করে ব্যবধান বাড়ান সুহের। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি রিয়েল কাশ্মীর।