উদ্যোগ: রোনাল্ডিনহোদের নিয়ে ম্যাচের ভাবনা। ফাইল চিত্র
বার্সেলোনাকে শহরে এনে ম্যাচ খেলতে চাইছে মোহনবাগান।
তবে লিয়োনেল মেসিদের দল নয়, বার্সায় খেলা প্রাক্তন সেরা কিংবদন্তি ফুটবলারদের এনে দিপান্দা ডিকা, শিল্টন পালদের সঙ্গে প্রদর্শনী ম্যাচ করতে আগ্রহী ক্লাব কর্তারা। এই ম্যাচের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর যুবভারতী চেয়ে রাজ্য ক্রীড়া দফতরকে চিঠি দিয়েছেন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র। নবান্নে তা মঙ্গলবারই জমা পড়েছে। তাতে সচিব লিখেছেন, ‘বার্সেলোনা ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচটি হবে। সে জন্য আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে যুবভারতী স্টেডিয়াম দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’ স্পেনের বিখ্যাত ক্লাবের জার্সিতে কারা খেলতে আসবেন তা অবশ্য চিঠিতে কোথাও লেখা হয়নি। রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোহনবাগান সচিব বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরে একটা ম্যাচ সংগঠন করতে চাইছি। কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে। সে জন্য মাঠ চেয়ে আবেদন করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সব বলব।’’
জানা গিয়েছে, বার্সেলোনায় খেলা অতীতের কিংবদন্তি ফুটবলারদের যে দল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলে বেড়ায় সেই দলটিকেই আনার চেষ্টা চলছে। সেই দলে রোনাল্ডিনহো, এডমিলসন, প্যাট্রিক ক্লয়ভার্ট, ফেদেরিখ দেয়ু, মিগেল নাদাল, ফ্র্যাঙ্ক দে বুয়ে, কোকো, সিমাওয়ের মতো ফুটবলাররা আছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, সাধারণত এই দলটি যে দেশেই খেলতে যায় তারা সেই দেশের প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গেই খেলে। সম্প্রতি লিভারপুল ও জুভেন্তাসের কিংবদন্তি দলের বিরুদ্ধে খেলেছে তারা। যেমন পাওলো সের্খিওর নেতৃত্বে বায়ার্ন মিউনিখের কিংবদন্তি ফুটবলারদের যে দলটি আট বছর আগে কলকাতায় খেলতে এসেছিল তারা খেলেছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনদের সঙ্গে। সেখানে কি শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কমবয়সিদের সঙ্গে খেলতে রাজি হবে বার্সেলোনার প্রাক্তনরা। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি মোহনবাগান সচিব। বলে দেন, ‘‘সময় মতো সব জানাব। অপেক্ষা করুন।’’
মোহনবাগান এর আগে পেলের কসমস, রজার মিল্লার ক্যামেরুন বা অলিভার কানের বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে খেলেছে। এ বার বার্সেলানোর সঙ্গে খেলার চেষ্টা হচ্ছে। গত এপ্রিলের শেষে মুম্বইতে খেলার কথা ছিল বার্সোলোনার ‘লেজেন্ডস’ দলের। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জুভেন্তাস। সাংবাদিক সম্মেলন করে তা ঘোষণা করার পরও দু’বার তা পিছিয়ে গিয়েছে। ডামাডোলের মোহনবাগানে এ বার কী হবে? এরই মধ্যে হঠাৎই নাটকীয় ভাবে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের দেওয়া পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন টুটু বসু। এক বছর আগে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।