স্বস্তি কোসির গোলে, প্রথম চারে ঢুকে পড়ল মহমেডান

প্রিমিয়ারে লিগে ওঠা বেহালার ক্লাব বিএসএস অবনমন বাঁচাতে লড়ছে। কোচ বদল করেও তারা জয়ে ফিরতে পারল না। জেতার মতো খেলেওনি গৌতম ঘোষের দল। গৌতম কুজুর আর ড্যানিয়েল অ্যাডো ছাড়া কাউকেই চোখে পড়ল না।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৮
Share:

নায়ক: গোলদাতা কোসিকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

খেতাবের লড়াইয়ে নেই মহমেডান। তবুও যে সাদা-কালো সমর্থকরা এত তুবড়ি আর মশাল নিয়ে মাঠে আসেন, আর্থার কোসির গোলটা না হলে অজানাই থেকে যেত।

Advertisement

আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার জাগলে তবেই জেতে মহমেডান। এটাই এখন যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। শনিবারও তাই হল। নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে সত্যম শর্মার কর্নার থেকে হেডে গোল করে ফের জয়ের সরণিতে দলকে ফেরালেন কোসি। গ্যালারিও রঙিন হল। চলতি কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ছয় গোল হয়ে গেল তাঁর। আট ম্যাচে ছয় গোল। খুব খারাপ পারফরম্যান্স নয়। তবুও কোসি খুশি নন। ম্যাচের পর বললেন, ‘‘আমি অনেক গোল নষ্ট করেছি। সেগুলো হলে ক্রোমা, কামোদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারতাম এ বার।’’

প্রিমিয়ারে লিগে ওঠা বেহালার ক্লাব বিএসএস অবনমন বাঁচাতে লড়ছে। কোচ বদল করেও তারা জয়ে ফিরতে পারল না। জেতার মতো খেলেওনি গৌতম ঘোষের দল। গৌতম কুজুর আর ড্যানিয়েল অ্যাডো ছাড়া কাউকেই চোখে পড়ল না। এমনিতে কাদা শুকিয়ে যাওয়ার পরে মহমেডান মাঠ অসমান হয়ে গিয়েছে। মাঠ মসৃণ করার কোনও চেষ্টাও নেই কর্তাদের। আর বল যদি ঠিকমতো না গড়ায়, তা হলে ভাল ফুটবল হতে পারে না। ফলে ম্যাচটা কখনই উঁচু মানের হল না। অসংখ্য মিস পাস ও স্কোয়্যার পাসের পাশাপাশি ফুটবলারদের বিপজ্জনক ফাউল করার প্রবণতা। এর মধ্যেই অন্তত তিন বার গোলের সুযোগ পেলেও জন চিডি ও কোসি গোল করতে ব্যর্থ।

Advertisement

মহমেডানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর দীপেন্দু বিশ্বাস শুরুতে কোসিকে নামাননি। নামিয়েছিলেন চিডিকে। নাইজিরীয় ফুটবলারটি এ দিনই প্রথম শুরু থেকে খেললেও নজর কাড়তে ব্যর্থ। দুটি সহজ গোলের সুযোগও নষ্ট করেন। বিশেষ করে, প্রথমার্ধের মাঝামাঝি ভানলাল ছাংতের একটি ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতেন চিডি। তাঁকে বসিয়ে বিরতির পরে কোসিকে নামাতেই চাপ বাড়াতে শুরু করে মহমেডান। আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকারের একটি শট বাঁচান বিএসএসের গোলকিপার সুশান্ত মালিক। সত্যম শর্মা, মুদে মুসারা যখন গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন, তখনই কাঙ্ক্ষিত গোল এল মহমেডানে। এই গোলের সুবাদেই প্রথম চারে ঢুকে পড়লেন তীর্থঙ্কর সরকারেরা। আট ম্যাচে মহমেডানের পয়েন্ট ১৩। দীপেন্দু বলছিলেন, ‘‘আমাদের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম তিনে থাকাই লক্ষ্য।’’ যুবভারতীতে ১৯ সেপ্টেম্বরের মিনি ডার্বিকে এ দিনের পরেই গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে সাদা-কালো কর্তারা। শনিবার তারা চিঠি দিয়ে আইএফএ-কে অনুরোধ করেছে, ভিন রাজ্যের রেফারি দিয়ে ম্যাচটি পরিচালনা করতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement