হাজিরা: লাহৌরে শুনানি দিতে এলেন মহম্মদ ইরফান। এপি
ফের কলঙ্কিত পাক ক্রিকেট। আবারও গড়াপেটার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুলকালাম ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম-দের দেশে।
ভারতের আইপিএলের মতো পাকিস্তান চালু করেছিল পিএসএল। পাকিস্তান ক্রিকেট লিগে। সেখানেই স্পট ফিক্সিং নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই পাক ক্রিকেটার শার্জিল খান ও খালিদ লতিফের পর দীর্ঘকা। পেসার মহম্মদ ইরফানের বিরুদ্ধেও চার্জশিট জমা পড়েছিল। তারই ভিত্তিতে ইরফান-কে আপাতত সাসপেন্ড করেছে পাক বোর্ড।
তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে বলেই এমন সিদ্ধান্ত। চোদ্দো দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে ইরফান-কে। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হবে কি না, সেটা বিশেষ ট্রাইবুনাল ঠিক করবে। সই ট্রাইবুনালে বিচারপতিরা ছাড়াও ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রাক্তন উইকেটকিপার ওয়াসিম বারি আছেন।
তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, পিএসএল-এর সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও তাঁরা রিপোর্ট করেননি সংশ্লিষ্ট টিম ম্যানেজমেন্ট বা পাক বোর্ড কর্তাদের কাছে। এখন এই নিয়ম নিয়ে আইসিসি থেকে শুরু করে সব দেশের দুর্নীতি দমন শাখা থেকেই পরিষ্কার নির্দেশ রয়েছে যে, জুয়াড়িদের প্রস্তাব এলেই তৎক্ষণাৎ তা জানাতে হবে। অভিযুক্ত তিন পাক ক্রিকেটার সেটা করেননি। শুনানিতে এসে ইরফান জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে নাকি এক-দু’বার নয়, পাঁচ বার কথা বলেছিল জুয়াড়িরা। এই তথ্য জানাজানি হওয়ার পরে পাক ক্রিকেট মহলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, পাঁচ বার কথা হওয়ার পরেও ইরফান কেন উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে রিপোর্ট করলেন না?
আরও পড়ুন: বিরাটরা কেন খারাপ পিচে খেলবে, প্রশ্ন দিলীপ দোশীর
ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন সলমন বাট, মহম্মদ আমির ও মহম্মদ আসিফ। তারও আগে সেলিম মালিকদের নিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে দগ্ধ হয়েছে পাক ক্রিকেট। নতুন এই কেলেঙ্কারি আফ্রিদিদের দেশের ক্রিকেটের জন্য বিশাল ধাক্কা। কারণ, শোনা যাচ্ছে পিএসএলে যে স্পট ফিক্সিং হচ্ছে, সেই খোঁজ নাকি পাক ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখা নয়, আইসিসি গোয়েন্দারা প্রথমে পান। তার পর তাঁরা পাক বোর্ডকে জানিয়ে বলেন, পদক্ষেপ করতে।
সন্দেহজনক ক্রিকেটারদের নিয়ে এর পরেই তদন্তে নামে পাক বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসার-রা। এই তিন জন ছাড়াও ইংল্যান্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাসের জামশেদ-কে। তাঁর বিরুদ্ধেও পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। পরে অবশ্য নাসের-কে ছেড়ে দেওয়া হয়। পিএসএলে খেলা আরও অনামী ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।