সজ্জা: আমদাবাদে জাতীয় গেমসে অঞ্জু ববি জর্জের সঙ্গে পিভি সিন্ধু। স্থানীয় সাজে চমক। পিটিআই
ছত্রিশতম জাতীয় গেমসে সঞ্জিতা চানুকে হারিয়ে সোনা জিতলেন মীরাবাই চানু। ৪৯ কেজি বিভাগে মোট ১৯১ কেজি তুলে সেরা হলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী এই তারকা ভারোত্তোলক।
অগস্টে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস থেকেও সোনা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন চানু। এ বার জাতীয় গেমসে ৮৪ কেজির স্ন্যাচ ও ১০৭ কেজির ক্লিন অ্যান্ড জার্কে সোনা নিশ্চিত করেন। দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় গেমসে অংশ নিয়েছেন চানু। তিনি জানিয়েছেন, বাঁ-হাতের কব্জিতে চোট নিয়েই নেমেছিলেন প্রতিযোগিতায়। তাই তৃতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
আমদাবাদে পদক নিশ্চিত করে চানু বলেছেন, ‘‘পাটিয়ালা এনআইএস-এ ট্রেনিংয়ের সময় বাঁ-হাতের কব্জিতে চোট পাই। তার পরেই ঠিক করি, অতিরিক্ত ঝুঁকি নেব না। তাই দু’টি রাউন্ডের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। ডিসেম্বরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। তার আগে বড় চোট পেতে চাই না।’’
জাতীয় গেমসে মণিপুরের প্রতিনিধিত্ব করছেন চানু। নিজের রাজ্যের জন্য সোনা জিতে তিনি আপ্লুত। পদক জেতার পরে টুইটারে নিজের দু’টি ছবি তুলে ধরে চানু লিখেছেন, ‘‘৩৬তম জাতীয় গেমসে সোনা জিতে আমি খুব খুশি।’’ তার পরে সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘মণিপুরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দই অন্য রকম। সব চেয়ে খুশি হয়েছিলাম, যখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে অনেক সময়ই ক্লান্ত হয়ে যাই। কারণ, পরের দিনই আমার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু এ বার ভেবেছিলাম, প্রতিযোগিতার আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যাব। খুবই ভাল লেগেছিল।’’
অলিম্পিক্স ও কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতলেও এশিয়াডে এখনও পদক নেই চানুর। আগামী বছর শুরু হচ্ছে এশিয়াড। তার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করতে চান। চানুর কথায়, ‘‘আমার ক্যাবিনেটে এখনও এশিয়াডের পদক নেই। ২০১৮ সালে লড়তে পারিনি। কিন্তু এ বার সেখানে যোগ দিতে মরিয়া।’’
পাশাপাশি জাতীয় গেমসের শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ পেলেন বাংলার মেহুলি ঘোষ। তিনি গণমাধ্যমে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘বহু বছর ধরে এই পদকের অপেক্ষায় ছিলাম। সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণ হল। এটাই আমার অভিষেক জাতীয় গেমসে। পদক পেয়ে আমি আপ্লুত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘শনিবারও একটি ম্যাচ রয়েছে। আশা করি, আমি ভাল ফলই করব।’’