Paris Olympics 2024

তথ্যপ্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মোকাবিলায় আয়োজকেরা

শুক্রবার সকাল থেকে বিশ্ব জুড়ে মাইক্রোসফ্‌টের তথ্যপ্রযুক্তিগত বিভ্রাট নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তার প্রভাব পড়েছে আয়োজক কমিটির নিয়মিত কাজের উপরেও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫২
Share:

সম্প্রীতি: প্যারিসে শান্তি-পায়রা ওড়ালেন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী এবং আইওএ প্রধান টোমাস বাখ। ছবি: এপি/পিটিআই।

নিরাপত্তা নিয়ে চাপা উদ্বেগ রয়েইছে। তারই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে মাইক্রোসফ্‌টের ‘ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ’ নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে প্যারিস অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটিকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে এই প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মোকাবিলা করতে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকেও।

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকে বিশ্ব জুড়ে মাইক্রোসফ্‌টের তথ্যপ্রযুক্তিগত বিভ্রাট নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তার প্রভাব পড়েছে আয়োজক কমিটির নিয়মিত কাজের উপরেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে আয়োজক কমিটির এক সদস্য বলেছেন, ‘‘সকালে উঠেই কম্পিউটারের স্ত্রিন নীল হয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। সমস্ত ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে এই কম্পিউটারগুলিতে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সেই তথ্যগুলিকে রক্ষা করার কাজ শুরু হয়। এখন অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অলিম্পিক্স শুরু হলে যদি আবার এই ধরনের বিভ্রাটের মুখে পড়তে হয়, তা হলে সমস্যার অন্ত থাকবে না। তাই বিকল্প ব্যবস্থাও করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা অলিম্পিক্স সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। আগের মতোই মসৃণ গতিতে কাজ চলছে।’’

এ দিনই ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রী আমেলি ইউডেহা কাস্তেহা এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টোমাস বাখ পায়রা উড়িয়েছেন মাদুলেন্না গির্জার সামনে। পরে বাখ বলেছেন, ‘‘শুধু খেলাধুলোই নয়, অলিম্পিক্স বিশ্ব সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়। শান্তির প্রতীক হিসেবেই সাদা পায়রা ওড়ানো হল। আমরা বিশ্বাস করি, প্যারিস অলিম্পিক্স বাকি বিশ্বের কাছে সংহতির বাণী ছড়িয়ে দেবে।’’

Advertisement

তারই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে পুরো প্যারিস পরিণত হয়েছে লৌহবাসরে। সেন নদী এবং আইফেল টাওয়ার সংলগ্ন অঞ্চলে এখন প্রবেশ করতে হলে সাধারণ মানুষকে বিশেষ ‘কিউআর কোড’ ব্যবহার করতে হবে। মোট ছয়টি বিশাল লোহার প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয়েছে দুই অঞ্চলকে। তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সশস্ত্র সেনা। মোবাইলে সেই বিশেষ ‘কিউআর’ কোড দেখাতে হবে সেনাকে। প্রতিটি লৌহপ্রাচীরের পাশে রয়েছে যন্ত্র। যদি সবুজ আলো জ্বলে ওঠে, তা হলেই সাধারণ মানুষ সেই নিরাপত্তা অঞ্চল পার হতে পারবেন।

যদিও এই নতুন নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্যারিসে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ এই ‘কিউআর’ কোড পাননি। যদিও ফরাসি পুলিশের দাবি, গত বছরই জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার জন্য এমন ‘কিউআর’ কোড প্রথা চালু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement