গোলের পর মেসির উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
বার্সেলোনা ৪ (সুয়ারেজ, মেসি-২, গোমেস)
ভ্যালেন্সিয়া ২ (মাঙ্গালা, মুনির)
গোল করে প্রথমে হিরো হয়েও কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভিলেন হয়ে গেলেন ভ্যালেন্সিয়ার এলিয়াকিম মাঙ্গালা। ২৯ মিনিটে কাম্প ন্যুতে বার্সেলোনাকে চমকে দিয়ে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাঙ্গালা। খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়েই ভ্যালেন্সিয়ার গোল। পারেজোর ক্রস থেকে মাঙ্গালার হেডে চমক বাঁচাতে পারলেন না বার্সা গোলকিপার। তার আগের পুরো সময়টা পুরোটাই ছিল বার্সেলোনার দখলে। কখনও সুয়ারেজের গোলমুখি শট বাঁচালেন ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার কখনও সুযোগ নষ্ট করলেন মেসি। যার ফল শুরুতেই গোল হজম। কিন্তু বেশিক্ষণ ভ্যালেন্সিয়ার এই উচ্ছ্বাস স্থায়ী হয়নি। ৩৫ মিনিটেই নেইমারের থ্রো থেকে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান সুয়ারেজ। ৩৯ মিনিট ও ৪৪ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ম্যাচের প্রথম গোলদাতা। প্রথমার্ধের শেষেই ১০ জনে হয়ে গিয়ে মানসিকভাবে চাপে পড়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। তার পরও লড়াই চালিয়েছিল কিন্তু কিন্তু জয় তুলে আনতে পারেনি।
আরও খবর: রক্ষাকর্তা সেই আগুয়েরো
জয়ের আনন্দে মেসি-নেইমার।
মাঙ্গালা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে আর পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সেলোনা। এক মিনিটের মধ্যেই মেসির আবির্ভাব। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফুটবলের রাজপুত্র। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ঠিক এক মিনিটের মধ্যেই আবার ১০ জনের ভ্যালেন্সিয়াকে সমতায় ফেরান মুনির। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-২ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার সেই মেসিই। মাসচেরানোর পাস ধরে মেসির ফিনিশ। এগিয়ে যায় বার্সা। ১০ জনের ভ্যালেন্সিয়া কিন্তু হাল ছাড়েনি। বার্সালোনার সঙ্গে সমান তালে আক্রমণ চালিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল বার্সার মিসের পালাও। ৭৬ মিনিটে নেইমারের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। ৮৯ মিনিটে বর্সেলোনার হয়ে ৪-২ করেন তাভারেজ গোমেস। ২৮ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। ২৭ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদই। তিন নম্বরে সেভিয়া। পয়েন্ট ৫৭।